Press "Enter" to skip to content

যাদবপুরে এ বারও কি রামের ভোট বামে যাবে? সোজাসাপটা জবাব বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের

যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখোমুখি অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস

প্রচারে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কেমন উৎসাহ দেখছেন?

বিজেপিকে নিয়ে প্রচুর উৎসাহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বিশ্বাস। হ্যাঁ, তিনি গত ১০ বছর ধরে মানুষের জন্য, দেশের জন্য কিছু করেছেন, এই আস্থার বহির্প্রকাশ। মানুষ পরিষ্কার বুঝতে পারছে, মোদীজির কেউ নেই, নিজের জন্য কোনো আখের গোছানোর নেই। যা করছেন, সবকিছুই তিনি সমগ্র ভারতবাসীর জন্য করছেন। সারা পৃথিবীর মধ্যে ভারতবর্ষ যাতে এক নম্বর দেশ হয়, সেই দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েই তিনি এগিয়ে চলেছেন। এটা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে।

নির্বাচিত হয়ে দিল্লি গেলে যাদবপুরের মানুষের কোন দাবি-দাওয়ার কথা তুলে ধরবেন?

মানুষের অনেক দাবিদাওয়া রয়েছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলো যাতে আরও ভালো করে এখানে বাস্তবায়িত হয়, সেগুলোর সুবিধা আরও সহজে পাওয়া যায়। এখানকার পরিকাঠামো, যোগাযোগের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। বহু বছর ধরে বেশ কিছু কাজ আটকে রেখেছে, করতে দেওয়া হয়নি।

এখানকার মানুষ কেন বিজেপিকে চাইবে?

যাদবপুরের মানুষ যেটা চাইছে, সেটা বুঝতে পারছি। তারা অনেককে সুযোগ দিয়েছে। কিছুই পায়নি। এ বার তাই তারা বিজেপিকে সুযোগ দিতে চায়। গত কয়েক বছর ধরে তারা এখানে অনেক গায়ক-গায়িকা, নায়ক-নায়িকা, সেলিব্রিটিদের দেখেছে। তারা কোনো দিন মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। মানুষের ভোট চেয়েছে, পেয়েছে এবং জিতে চলে গেছে। তার পরে আর ফিরেও তাকায়নি। আমরা বলছি যে, আমাদের এক বার দেখুন। দেখুন আমরা কী করতে পারি।

২০২১-এ বোলপুর বিধানসভায় প্রার্থী হয়েছিলেন, এ বার লোকসভায় যাদবপুর। মিল বা তফাত কী দেখছেন?

বোলপুর যেমন রাজনৈতিক ভাবে বহুচর্চিত, তেমনই যাদবপুরও বহুচর্চিত। এখানেও রাজনৈতিক দিক থেকে জটিলতা রয়েছে। বোলপুরের মতোই যাদবপুরেও একটি ঐতিহ্যের ইতিহাস রয়েছে। বাংলার ইতিহাসে এই দুই কেন্দ্রেরই একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। সেই জন্য যাদবপুরও সবসময় যথেষ্ট প্রেস্টিজিয়াস, বোলপুরও ছিল।

আগের কিছু নির্বাচনে বামের ভোট রামে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এ বারও কি তাই হবে?

যারা দেশের ভালো চায়, যারা চায় ভারতবর্ষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, তারা বিজেপি-কেই ভোট দেবেন। যারা চায় খেটে খাওয়া মানুষের ভালো হোক, সাধারণ মানুষের ভালো হোক, একটু স্বাচ্ছন্দ্য আসুক জীবনে, তার বাড়িতে শৌচালয়, তার বাড়িতে পানীয় জলের লাইনটা পৌঁছোক, তার মাথার উপর একটা ছাদ হোক, যারা চায় যে একটু সুলভ দামে ওষুধগুলো পাওয়া যাক, স্বাস্থ্যের জন্য একটা বিমা থাকুক,যারা দেখে এগুলো হচ্ছে, তারা যে দলেই থাকুক না কেন বুঝতে পারছেন, নরেন্দ্র মোদী কাজ করছেন।

তৃণমূল (সায়নী ঘোষ) এবং সিপিএম (সৃজন ভট্টাচার্য) প্রার্থী বয়সে আপনার থেকে নবীন!

কেন, আমাকে দেখে কী মনে হচ্ছে! আমার বয়স কি অনেক বেশি? দেখুন, রাজনীতিতে বয়স কোনো ফ্যাক্টর নয়। আমি যে দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছি, তার নীতি-আদর্শ মেনে চলে কী ভাবে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারছি, সেটাই মূল বিষয়।

এখনও পর্যন্ত মনে হচ্ছে, এখানে ত্রিমুখী লড়াই হবে। নিজেকে কতটা এগিয়ে রাখছেন?

আত্মবিশ্বাস আমার রয়েছে। তবে ওভার-কনফিডেন্স নয়। আমরা মানুষের কাছে যাতে আমাদের কর্মসূচি, নিজেদের উপলব্ধি সঠিক ভাবে পৌঁছে দিতে পারি, মানুষের মনে সেই বিশ্বাস জাগাতে পারি যে,আমরা তাদের সঙ্গে রয়েছি, তা হলে জয় সুনিশ্চিত।

More from রাজ্যMore posts in রাজ্য »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *