কোলফিল্ড টাইমস: পথকুকুরদের নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। আগস্ট মাসে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তারা পথকুকুর নিয়ন্ত্রণে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা হলফনামার মাধ্যমে জানাতে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেবল পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গনা ও দিল্লি হলফনামা জমা দিয়েছে। বাকি রাজ্যগুলির কোনও প্রতিক্রিয়া না মেলায় ক্ষুব্ধ শীর্ষ আদালত।
সোমবার বিচারপতি বিক্রম নাথ, সন্দীপ মেহতা ও এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চ স্পষ্ট মন্তব্য করে, “সব রাজ্যের পক্ষ থেকে এখনও কোনও জবাব আসেনি। আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। দুই মাস কেটে গেল, তবু কোনও উত্তর নেই।” আদালত জানিয়েছে, প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে জবাব দিতে হবে।
এর আগে আদালত জানতে চেয়েছিল, রাজ্যগুলি ২০২৩ সালের অ্যানিমাল বার্থ কন্ট্রোল আইন (ABC Act) অনুযায়ী কাজ করছে কি না। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ রাজ্য হলফনামা দেয়নি। বিচারপতি নাথ বলেন, “ঘটনা ঘটেই চলেছে, অথচ কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।”
উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট দিল্লি এনসিআর-এ পথঘাট সারমেয়শূন্য করার নজিরবিহীন নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও আর মহাদেবনের বেঞ্চ। সেই নির্দেশে বলা হয়েছিল, দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় কোনও পথকুকুর রাখা যাবে না, তাদের শহরের বাইরে শেল্টারে পাঠাতে হবে। এর জন্য আট সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি রাস্তায় নামে এবং একাধিক মামলা দায়ের হয়। ফলে ২২ আগস্ট বিচারপতি নাথের নেতৃত্বে তিন সদস্যের নতুন বেঞ্চ গঠন করা হয়।
পরবর্তীতে আদালত আগের নির্দেশ সংশোধন করে জানায়, রেবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার পর পথকুকুরদের পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও রাজ্যগুলিকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। কিন্তু এখনও অধিকাংশ রাজ্য নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানায়নি, যা নিয়ে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত।










