জলপাইগুড়ি: মহালয়ার দিন চক্ষুদানের পর প্রতিপদে ঘট বসিয়ে শুরু হয়েছে বৈকুন্ঠপুর রাজএস্টেটের স্বর্ণদুর্গা ও মৃন্ময়ী প্রতিমার পূজা। এ বার এই ঐতিহ্যবাহী রাজপুজো পা দিল ৫১৬ বছরে।
ইতিহাস বলছে, সুদূর অতীতে বিশ্ব সিংহ ও শিষ্য সিংহ এই পুজোর সূচনা করেন। সেই থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে এই আচার। এক সময় অষ্টমীর রাতে নরবলি দেওয়া হত। বর্তমানে তার পরিবর্তে চালের গুঁড়ো দিয়ে মানুষের অবয়ব বানিয়ে কুশ দিয়ে প্রতীকী বলি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে চার জোড়া পায়রা বলি দেওয়ার রীতি এখনও বজায় আছে। এ সময় রাজপরিবারের সদস্য ও রাজপুরোহিত ছাড়া অন্য কারও উপস্থিত থাকার অনুমতি নেই।
ভোগে রাজকীয় আয়োজন— করলা নদীর বোয়াল মাছের পাশাপাশি কাতলা, ইলিশ, খিচুড়ি, পোলাও ও ভাত নিবেদন করা হয় দেবীর উদ্দেশে।
পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রয়েছেন রাজপরিবারের সদস্য প্রণত বসু ও তাঁর পুত্রবধূ লিণ্ডা বসু। রাজপুরোহিত শিবু ঘোষাল জানান, “কালিকা পুরাণ অনুসারে এখানে পুজো হয়। দেবীকে তপ্ত কাঞ্চন বর্ণায় পূজা করা হয়। তাঁর বাহন সিংহের পাশাপাশি বাঘও। দেবীর সঙ্গে জয়া-বিজয়াকেও সমানভাবে পুজো করা হয়।”