অভিষেক সেনগুপ্ত, জলপাইগুড়ি: জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠ্যপুস্তক পৌঁছনোর প্রক্রিয়া শেষ করল প্রাথমিক শিক্ষক দফতর। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পড়ুয়াদের হাতে স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পাঠ্যবই তুলে দেবে এসআই অফিসগুলি।
গত ৫ অক্টোবর ভয়াবহ বন্যা হয় জেলার একাংশে। তিস্তা-সহ একাধিক নদীর জল ঢুকে পড়ে জনবসতি এলাকায়। দুর্ভোগে পড়েন প্রচুর মানুষ। পরিস্থিতি দেখতে ছুটে আসেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সদর ব্লক, ময়নাগুড়ি, নাগরাকাটা ও মালবাজার এলাকা। প্রাথমিক হিসেবে কমবেশি হাজার দশেক পড়ুয়ার বইপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব ওপরমহলে পাঠায় জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসন। এরপরে, শুরু হয় ওই পাঁচটি ব্লকের বিভিন্ন সার্কেল অফিসে পাঠ্যবই পৌঁছানোর প্রক্রিয়া।
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক তথা ডিপিএসসি-র সচিব শ্যামলচন্দ্র রায় বলেন, “প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে অনেক পড়ুয়ার বইপত্র, পড়ার সামগ্রী ভেসে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা সব তথ্য সংগ্রহ করে উপরমহলে পাঠিয়েছিলাম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই সব ব্লকে বই পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত পড়ুয়ারা বইপত্র পাবে।”










