শ্রয়ণ সেন
ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ এখন অনেকটাই দুর্বল হয়ে ছত্তীসগঢ়ের উপর সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। তবে এর প্রভাবে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী কয়েকদিন ধরে নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে, বিহার–নেপাল সীমান্তের দিকে সরে যাবে। এর ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে আর্দ্রতা টেনে নিয়ে রাজ্যের উপরেই এর আবহাওয়াজনিত প্রভাব বজায় থাকবে, যার ফলে একাধিক জেলায় ঘন ঘন বৃষ্টি হতে পারে।
কলকাতা ও আশপাশের জেলা
কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ নভেম্বর পর্যন্ত অনিয়মিত বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি হলেও দীর্ঘস্থায়ী ভারী বর্ষণের আশঙ্কা নেই। আকাশ মেঘলা থাকবে, রাস্তাঘাট ভিজে থাকতে পারে, তবে বড় ধরনের বিঘ্নের সম্ভাবনা নেই।
পশ্চিম ও উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি
রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল — বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম–এর সঙ্গে মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাধিক দফায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে, যা যাতায়াত ও বাইরের কার্যকলাপে সাময়িক প্রভাব ফেলতে পারে।
উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া সতর্কতা
উত্তরবঙ্গে ৩০ অক্টোবর ভারী বৃষ্টি এবং ৩১ অক্টোবর অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের উত্তরমুখী গতিপথ ও অনুকূল আবহাওয়াগত অবস্থার কারণে এই বৃষ্টি হতে পারে। যদিও মাসের শুরুতে দীর্ঘ শুষ্কতার ফলে নদীগুলির জলস্তর তুলনামূলকভাবে কম, তবু নদীপারের দুর্বল বাঁধ এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে, বিশেষ করে ৪ অক্টোবরের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে।
নভেম্বরের শুরুতেই উন্নতি
২ নভেম্বরের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে শুরু করবে বলে পূর্বাভাস। নিম্নচাপটি সরে গেলে আকাশ পরিষ্কার হবে এবং রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। ফলে রাজ্যের একাধিক জেলায় আগাম শীতের আমেজ ফিরে আসতে পারে।










