শ্রয়ন সেন
বঙ্গোপসাগরে একাধিক আবহাওয়া সিস্টেম গঠনের ফলে পূর্ব ভারতের আবহাওয়া আবারও অনিশ্চিত হতে চলেছে। বর্ষা-পরবর্তী নিম্নচাপের মরশুমে প্রবেশ করেছে উপকূল এলাকা। এর ফলে অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অন্তত দুটি নিম্নচাপ রাজ্যের আবহাওয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
তামিলনাড়ু উপকূলে সক্রিয় নিম্নচাপ
বর্তমানে তামিলনাড়ু উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে একটি নিম্নচাপ সক্রিয় রয়েছে, যার প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, এই নিম্নচাপ সম্পূর্ণরূপে দুর্বল হবে না এবং তা পুনরায় বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করতে পারে। এর প্রভাবে আগামী শনিবার ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন সিস্টেমের সম্ভাবনা ২৭ অক্টোবরের পর
আগামী ১০ থেকে ১২ দিন বঙ্গোপসাগর বেশ সক্রিয় থাকবে বলে পূর্বাভাস। অক্টোবর ২৩ থেকে ২৮-এর মধ্যে তামিলনাড়ু-অন্ধ্র উপকূলের কাছে থাকা এই নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে, যার প্রভাব পড়বে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায়। এরপর অক্টোবর ২৮ থেকে নভেম্বর ৪-এর মধ্যে উত্তর বা উত্তর-মধ্য বঙ্গোপসাগরে আরও একটি নিম্নচাপ গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এই সিস্টেমের গতিপথ ও শক্তি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা মিলবে অক্টোবর ২৫-২৬-এর পর।
নিম্নচাপ গঠনের অনুকূল পরিস্থিতি
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় গঠনের পক্ষে আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূল রয়েছে। ম্যাডেন–জুলিয়ান অসিলেশন (MJO) এবং রসবি ওয়েভ — উভয়েই ২৭ অক্টোবরের পর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনাকে জোরাল করছে।
রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস
অক্টোবর ২৫-২৬ নাগাদ প্রথম সিস্টেমের প্রভাবে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বৃষ্টি বাড়বে বলে পূর্বাভাস এবং একাধিক জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। উত্তরবঙ্গেও কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে, যদিও সেখানে এখনও ভারী বৃষ্টির কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
বৃষ্টির পর নামবে শীতের ইঙ্গিত
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সক্রিয় এই আবহাওয়া পর্ব শেষ হলে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা ও শুষ্ক হাওয়া ঢুকতে শুরু করবে। এর ফলে রাজ্যে প্রাক-শীতল আবহাওয়ার সূচনা হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।










