কোলফিল্ড টাইমস: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত শহর। একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে সরাসরি সিইএসসি-র পরিকাঠামোকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ‘নিউজ়১৮ বাংলা’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এর দায় সিইএসসি-কে নিতে হবে। এখনই কর্মীদের নামাতে হবে। এখানে ব্যবসা করছে, আর পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণের কাজ করছে রাজস্থানে। কলকাতায় করছে না। বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে জানান, সিইএসসি-কে তাঁদের পরিবারের অন্তত এক জনকে চাকরি দিতে হবে। একই সঙ্গে প্রশাসনকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন তিনি। মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব এবং পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানান মমতা।
সোমবার রাতভর বৃষ্টির জেরে কলকাতার বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে, যাঁদের মধ্যে তিন জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট। বেসরকারি সূত্রে আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর মিললেও, পুলিশ তা এখনও স্বীকার করেনি। খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু নিয়েই মূলত প্রশ্ন উঠছে সিইএসসি-র পরিকাঠামো নিয়ে।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, “আজ কারও বেরোনোর প্রয়োজন নেই। বেসরকারি সংস্থাগুলিকে বলব, দয়া করে ছুটি নেবেন না। প্রশাসনের কর্মীরা রাস্তায় থাকবেন।” তবে কলকাতা পুরসভার পক্ষে জল বার করার কাজ সহজ নয় বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। বলেন, “সবই তো ডুবে আছে, জলটা বার হবে কোথায়?” ফরাক্কা বাঁধে ড্রেজ়িং না হওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুজোর মুখে এই বিপর্যয় শহরজুড়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “পুজো কমিটিগুলির অসুবিধা হবে। তবে হাতে এখনও কিছুটা সময় আছে। আজ-কালটা দেখে নিতে হবে।”