ভোটার তালিকার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) বা বিশেষ নিবিড় সংশোধন সম্পূর্ণভাবে ভারতের নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, এই বিষয়ে কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া মানে তাদের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করা।
বিচারপতি সূর্যকান্ত শুনানির সময় বলেন, “এসআইআর পরিচালনা করা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল।” আদালত জানায়, অন্য রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে তারা হস্তক্ষেপ করবে না, কারণ ভোটার তালিকার সংশোধন সম্পূর্ণভাবে কমিশনের দায়িত্ব। মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার)।
শুনানির সময় বিচারপতি সূর্যকান্ত আবেদনকারীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা কেন চান সুপ্রিম কোর্ট সব কিছু নিজের হাতে নিক? নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের কাজ করতে দিন।” বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, বিচারব্যবস্থা থেকে অযথা হস্তক্ষেপ ছাড়া কমিশনকে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া উচিত।
এদিকে আদালত বিহারে এসআইআর প্রক্রিয়ার সময় বাদ পড়া ৩.৬৬ লক্ষ ভোটারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন আদালতে জানায়, চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় বেশিরভাগ নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন, অল্প কিছু পুরনো ভোটারও যুক্ত হয়েছেন। বাদ পড়া ভোটারদের কারও কাছ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ বা আপিল জমা পড়েনি।
৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিহারের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, মোট ভোটারের সংখ্যা ৭.৮৯ কোটি থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৪২ কোটি-তে। অর্থাৎ প্রায় ৪৭ লক্ষ ভোটার কমেছে। যদিও খসড়া তালিকার তুলনায় (যেখানে ৭.২৪ কোটি ভোটার ছিল) ১৭.৮৭ লক্ষ ভোটার বেড়েছে।
খসড়া তালিকায় ২১.৫৩ লক্ষ নতুন ভোটার যুক্ত হলেও ৩.৬৬ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মৃত্য, স্থানান্তর বা ডুপ্লিকেট নামের কারণে এই বাদ দেওয়া হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে।
গতকাল নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করে কমিশন জানায়, ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় প্রথম দফার ভোট হবে ৬ নভেম্বর (১২১ আসনে) এবং দ্বিতীয় দফা ১১ নভেম্বর (১২২ আসনে)। ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর।