চিত্তরঞ্জন : বিশ্বকর্মা পুজোর ঠিক আগের দিন হিন্দুস্তান কেবলসের পড়ে থাকা জমিতে নতুন কিছু উদ্যোগের সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পেল।
গতকাল বিএসএফের যে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল এখানে এসেছিল, তারা রাতে থেকে গিয়েছিলেন এবং আজ ১৬ সেপ্টেম্বর পুনরায় কেবলসের বিস্তীর্ণ এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখে। সর্বক্ষণ তাদের সঙ্গে ছিলেন হিন্দুস্তান কেবলসের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আর এন ওঝা। বিএসএফের তিন আধিকারিক চন্দন কুমার সিং, লক্ষণ চন্দ্র সাহা এবং শ্রী মুকুল রীতিমতো হাতে ম্যাপ নিয়ে প্রতিটি এলাকা চিহ্নিত করতে থাকেন।
জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকেই তারা উচ্চ পর্যায়ে রিপোর্ট পাঠাচ্ছিলেন। আজ তারা কেবলস এলাকার প্রায় ৯৪৭ জমি ঘুরে দেখার সময় থমকে দাঁড়ান দেশবন্ধু পার্ক, নিউমার্কেট, গেস্ট হাউস, ওল্ড কলোনি, রাঁচি মোড় অঞ্চলগুলিতে। এদিনই বিএসএফের প্রতিনিধি দলটি বহরমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
কেবলসের এই জায়গা বিএসএফ কর্তৃপক্ষের অত্যন্ত পছন্দ হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও তারা এর আগে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য কয়েকটি বন্ধ কারখানার এলাকা যেমন সেনরেলে, জে কে নগর, হিন্দুস্তান কেবলসের অবস্থানগত সুবিধা তাদের এখানেই নতুন ইউনিট গড়ে তুলতে উৎসাহী করেছে বলে জানা গেছে। প্রায় ৩০০ একরের বেশি জায়গা তারা নিতে পারেন, যেখানে ফায়ারিং রেঞ্জ ট্রেনিং স্কুল প্যারেড গ্রাউন্ড বাজার টাউনশিপ ইত্যাদি গড়ে ওঠার পরিকল্পনা আছে। বিএসএফের অন্ততপক্ষে ২০০০ জওয়ানের পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ চলছে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই হিন্দুস্তান কেবলসের সিএমডিকে দিল্লিতে যাবতীয় তথ্য সহ তলব করা হয়েছে বলেও একটি বিশেষ সূত্র জানাচ্ছে। এইসব উদ্যোগের ফলে সম্ভাবনা জাগছে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই হিন্দুস্তান কেবলসের পড়ে থাকা জায়গায় নতুন কিছু উদ্যোগের রূপরেখা সামনে আসতে পারে।