জলপাইগুড়ি: পুজোর আগেই বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেহাল রাস্তা সংস্কারে তৎপর হল পুর কর্তৃপক্ষ। রাস্তা সংস্কারে ওয়ার্ডপিছু ব্যয় করা হবে চার লক্ষ টাকা করে। এ ছাড়া, ওয়ার্ড গুলিতে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা খরচ করবে পুরসভা। সব মিলিয়ে পুজোর আগে-পরে শহরের পুর এলাকায় ৭ কোটি টাকার কাজ নিয়ে তৎপরতা শুরু হল পুরসভার অন্দরে। পুজোর আগে ওয়ার্ডে রাস্তা সংস্কারে পর্যাপ্ত সময় কোথায়, প্রশ্ন বিরোধী পুর প্রতিনিধির।
বৃহস্পতিবার বোর্ড মিটিং হয় পুরসভায়। শুক্রবার থেকেই বিভিন্ন কাজের প্রক্রিয়ায় তৎপরতা শুরু করল পুর কর্তৃপক্ষ। পুর এলাকার ২৫টি ওয়ার্ডের রাস্তার সংস্কার কাজের জন্য মোট দেড় কোটি টাকা খরচ করা হবে। এই কাজ শেষ করা হবে পুজোর আগেই। কোনও পুজো মণ্ডপের সামনে রাস্তা বেহাল হয়ে থাকলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সেই রাস্তার সংস্কার করা হবে। দীর্ঘ সময় ধরেই শহরের একাংশের রাস্তা বেহাল। বর্ষার মরসুমে যাতায়াত যন্ত্রণার শিকার হন অনেকেই।
পুর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শহরবাসীর একাংশ। পুজোর আগে সেই ক্ষোভের ক্ষতেই মলম দিতে চলেছে পুর কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয়তা বুঝে সংস্কারের জন্য চার লক্ষ টাকার কাজ করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি। এ ছাড়া, বিভিন্ন ওয়ার্ডে ‘কংক্রিটের’ রাস্তা নির্মাণ-সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা৷ এ কাজে বরাদ্দ হয়েছে কমবেশি সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। তবে, এই কাজ করা হবে পুজোর পরে।
পুরসভার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েও বিরোধী পুর প্রতিনিধি তথা কংগ্রেস নেতা অম্লান মুন্সি বলেন, “মাসখানেক আগে মিটিং করে এই সিদ্ধান্ত নিলে ভাল হত। এখন সময় কম থাকায় কাজ সম্পূর্ণ হওয়া নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। এই পুজোতেও রাস্তার সমস্যা পুরোপুরি মিটবে না।”
পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সন্দীপ মাহাতো বলেন, “বোর্ড মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব কাজ করা হবে। সংস্কারের কাজগুলি পুজোর আগেই মিটিয়ে ফেলা হবে। উন্নয়নমূলক কাজগুলি পুজোর পরে ধরা হবে। শহরবাসীর সমস্যা সমাধানে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।”