মঙ্গলবার ফের উত্তাল হয়ে উঠল কাঠমান্ডু। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরই নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক। প্রতিবাদকারীরা নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি-র পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন।
নতুন করে কারফিউ জারি
কাঠমান্ডুর জেলা প্রশাসন দফতর আবারও অনির্দিষ্টকালের কারফিউ ঘোষণা করেছে। সোমবার জারি হওয়া কারফিউ মঙ্গলবার ভোর ৫টায় উঠলেও, সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে ফের নতুন আদেশ কার্যকর হয়। পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে ও কালাঙ্কি এলাকায় আজ রাস্তায় অবরোধ তৈরি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
সোমবারের রক্তাক্ত বিক্ষোভ
হিমালয়ান টাইমস জানিয়েছে, সোমবার কাঠমান্ডু ও ইটাহারিতে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত ও প্রায় ৩০০ জন আহত হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি বেসামরিক বিক্ষোভের উপর সবচেয়ে ভয়াবহ দমনপীড়ন।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি
প্রতিবাদকারীরা সরকারের কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ওলি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এক বিক্ষোভকারী বলেন, “গতকাল বহু ছাত্র নিহত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে পদ ছাড়তেই হবে। ছাত্রদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।”
সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
সোমবার রাতে জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর নেপালের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী পৃত্থ্বী সুব্বা গুরুং ঘোষণা করেন, সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। ফেসবুক ও ‘এক্স’-সহ মোট ২৬টি প্ল্যাটফর্ম সরকারে নিবন্ধিত না হওয়ায় আগে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে ‘জেন জি’-এর দাবিতে তা আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।