জলপাইগুড়ি: স্কুলের কাজ ও বিএলও-র ডিউটি কীভাবে একযোগে করবেন তা নিয়ে চিন্তায় অনেক শিক্ষকই। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিয়েই কাজ করতে চাইছেন অনেক বিএলওই। রবিবার জলপাইগুড়ি সদর বিডিও অফিসে সদর বিধানসভা কেন্দ্রের বিএলওদের তিন ধাপে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানেই নিজেদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন একাংশ বিএলও তথা শিক্ষক।
এ দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিন পর্যায়ে ২৮৩ জন বিএলও-র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। হাজির ছিলেন সদর মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী, সদর বিডিও মিহির কর্মকার-সহ অনেকে। আগামী ৪ নভেম্বর থেকে এলাকায় ঘুরে, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে কাজ শুরু করবেন বিএলওরা৷ কীভাবে কাজ করতে হবে সে দিকে লক্ষ্য রেখেই এই প্রশিক্ষণ বলে সরকারি সূত্রের খবর৷
তবে, এদিন প্রশিক্ষণে আসা বিএলওদের একাংশের মুখে উদ্বেগের ছায়া লক্ষ্য করা গেল। এক প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিজয়লাল সরকার বলেন, “আমি আগে বিএলও-র ডিউটি করেছি। আমার এলাকায় কোনও ঝামেলা নেই। তবে, এ বারে কী হবে জানিনা।”
তাঁর আরও সংযোজন, আমরা কাজ শুরু করব কিন্তু কারও নাম বাদ গেলে যদি পরিস্থিতি খারাপ হয় তবে কাজ করা যাবে না। আরেক শিক্ষক বলেন, আমাদের অনডিউটি প্রয়োজন। স্কুলের কাজ আর বিএলও-র গুরুদায়িত্ব একযোগে পালন করা যাবে না।”
গোমিরাপাড়া এসসি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্তোষচন্দ্র সরকারও বিএলও হিসেবে এই প্রশিক্ষণ শিবিরে এসেছেন। তিনি বলেন, “এসআইআর করতে গিয়ে রাজনৈতিক রোষেও পড়তে পারেন অনেকেই। আমার বুথে সমস্যা না থাকলেও, অনেক জায়গাতেই নিরাপত্তা ছাড়া কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন বিএলওরা। এ দিকে স্কুলের সামগ্রিক কাজেও ক্ষতি হবে।”
বিএলওদের নিরাপত্তা, অন-ডিউটির দাবি ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মহকুমা নির্বাচনী আধিকারিক তথা সদর মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী।










