Home / খবর / জেলায় জেলায় / সবুজে সবুজে! নতুন করে ভাবাচ্ছে জলপাইগুড়ির রায়কতপাড়া বারোয়ারি দুর্গাপুজো কমিটির থিম

সবুজে সবুজে! নতুন করে ভাবাচ্ছে জলপাইগুড়ির রায়কতপাড়া বারোয়ারি দুর্গাপুজো কমিটির থিম

জলপাইগুড়ি: সকাল থেকেই আকাশে মেঘের ঘনঘটা। বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় নিয়েই পুজোয় মেতে উঠেছেন শহরবাসী। এ বারে উষ্ণায়ন কমাতে সবুজায়নকে হাতিয়ার করেই পুজো করছে শতবর্ষ ছুঁইছুঁই রায়কতপাড়া বারোয়ারি দুর্গাপুজো কমিটি। ওড়িশা-বাংলার মেলবন্ধনকে হাতিয়ার করেই পুজোয় শামিল শহরের অন্যতম প্রাচীন বাবুপাড়া দুর্গাপুজো ও কালচারাল কমিটি।

সময়টা ১৯৩০। তখন ইংরেজ তথা লালমুখো সাহেবদের দাপট শহর ও জেলায়। জেলখানার তখনও কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার হতে ঢের দেরি। সংশোধনাগার লাগোয়া রায়কতপাড়ার কয়েকজন উৎসাহী যুবক সে সময়ে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন এই এলাকায়৷ রায়কতপাড়া বারোয়ারির সে পুজো এ বারে ৯৬তম বর্ষে পদার্পণ করল। সবুজের সমারোহ মণ্ডপে। কী নেই? সুপারি, নারকেল, বাম্বু ট্রি থেকে ভেষজ গাছ, ফুলগাছের চারা, এসব দিয়েই করা হয়েছে মণ্ডপ সজ্জা। মণ্ডপের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তৈরি হয়েছে প্রতিমাও। কমিটির সম্পাদক সঞ্জীব মণ্ডল, শুভাঞ্জন চৌধুরী, অপু বিশ্বাস-রা জানান, ১২ লক্ষাধিক টাকা বাজেট রয়েছে এবারে। পরিবেশ রক্ষার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি পথ নিরাপত্তা, বাল্য বিবাহ রোধ-সহ একাধিক বিষয়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। তাদের সচেতন করা হবে। এ ছাড়া, আরও কিছু সামাজিক কর্মসূচি করা হবে পুজোয়, পুজোর পরেও। এর আগে, কেদারনাথের আদলে মণ্ডপ বানিয়ে জেলায় সাড়া ফেলে দিয়েছিল এই পুজো কমিটি। শুক্রবার, চতুর্থীর সন্ধ্যায় পুজোর উদ্বোধন করেন সদর মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী, পুরপ্রধান পাপিয়া পাল ও উপ পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। সদর মহকুমাশাসক বলেন, “আয়োজকদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাই।”

শহরের অন্যতম প্রাচীন দুর্গাপুজো হয় বাবুপাড়ায়। বাবুপাড়া দুর্গাপুজো ও কালচারাল কমিটির পুজো এ বারে পড়ল ১১৪তম বছরে। বাংলা ও ওড়িশার সংস্কৃতির মেলবন্ধনে পুজো হচ্ছে এখানে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। বাঁশ, কাঠ, প্লাইউড ব্যবহার করা হয়েছে মণ্ডপ তৈরিতে।

মোহিনী নৃত্যরত মায়ের মূর্তি। এলাকার সবাই স্বতস্ফূর্তভাবে সামিল হন পুজোয়৷ কমিটির বর্ষীয়ান সদস্য প্রদীপ কুমার গাঙ্গুলি বলেন, “বর্তমানে ‘আবাসন সংস্কৃতির’ কারণে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। আমরা পুরনো ঐতিহ্যকেই ধরে রেখে এগিয়ে চলার চেষ্টা করছি।”

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *