আসানসোল ও দুর্গাপুর : শিক্ষিকা হিসেবে যিনি নিজেই এক সময় স্কুলে পরীক্ষা নিতেন। ভাগ্যের ফেরে পড়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই চাকরি খুইয়ে তিনিই আজ পরীক্ষার্থী।
আসানসোলের কুলটি কলেজে রবিবার এসএসসির দ্বিতীয় দিনের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রতিবাদী মুখ ও অন্যতম আন্দোলনকারী রুপা কর্মকার। বারাবনির গৌরান্ডির বাসিন্দা বারাবনির একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন রূপা কর্মকার। তিনি এদিন প্রতিবাদ করে কালো পোশাক পরে পরীক্ষা দিতে আসেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, কালো পোশাক অশুভর প্রতীক। রাজ্য সরকার আমাদের জীবনে অশুভ ডেকে নিয়ে এসেছে। সুপ্রিম কোর্টের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের চাকরির মেয়াদ। তাই এদিন আবার পরীক্ষা দিতে এসে আমি কালো পোশাক পড়েছি। এই পরীক্ষা দিয়ে কি হবে জানিনা।
এ দিকে, এ দিন আসানসোল মহকুমার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র দেখা গেল পাশের রাজ্য বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে অনেক ছেলেমেয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছেন।
এ দিন পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ১১টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৭৮৭৮ জনের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন পরীক্ষা দিয়েছেন ৬৮৭২ জন। জেলায় অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০০৬ জন। আসানসোল মহকুমায় ছ’টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪৮৪৮ জন। কিন্তু পরীক্ষা দিয়েছেন ৪০৯৬ জন। আসানসোল মহকুমায় এ দিন পরীক্ষা দেননি ৭৫২ জন।
একইভাবে, দুর্গাপুর মহকুমায় পাঁচটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল ৩০৩০ জনের। কিন্তু পরীক্ষা দিয়েছেন ২৭৭৬ জন। অর্থাৎ পরীক্ষা দিতে আসেননি ২৫৪ জন।
এই প্রসঙ্গে আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, এ দিন নির্বিঘ্নে পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এসএসসির নির্দেশ মতো সব ব্যবস্থা করা হয়েছিল।