কোলফিল্ড টাইমস: দুর্গাপুর ধর্ষণ কাণ্ডের কিনারা করতে কোমর বেঁধে নেমেছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তাবড় সব অফিসার। ঠিক কী ঘটনা, কে সত্যি কথা বলছে, নির্যাতিতা না ধৃত তাঁর সহপাঠী-সহ মোট ৬ জন। এই ৬ জনই আপততঃ নিউটাউন শিপ থানার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। সূত্র মারফত জানা গেছে, পুলিশের হাতে নতুন কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে। যা পাওয়া গেছে নির্যাতিতা ও তাঁর সঙ্গী সহপাঠীর মোবাইল ফোন থেকে।
এদিকে এই ঘটনার পাঁচদিন পর বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে আরো ৫০ মিটার জঙ্গল এলাকা নতুন করে ঘিরেছে পুলিশ। আগেই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে যাওয়ার রাস্তার পাশে পরাণগঞ্জ জঙ্গলের বেশ কিছুটা পুলিশ ঘিরে দিয়েছিলো। যেখানে ইতিমধ্যে ধৃতদেরকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার রিকনস্ট্রাকশন বা পুনর্নির্মাণ করেছে পুলিশ। তাহলে কি এই ঘটনার তদন্তে আরো নতুন করে কিছু পুলিশের হাতে এসেছে? যদিও এই ব্যাপারে এদিন খোলসা করে পুলিশ অফিসাররা কিছু বলতে চাননি।
এদিকে এদিন দুর্গাপুরের শোভাপুরের ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নিউটাউন শিপ থানার পুলিশকে সাহায্য করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ তথা কলকাতা হাই কোর্টের আইনিজীবী বিভাষ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি নিউটাউনশিপ থানায় আসেন। বিভাষ চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে থানাতে গোটা ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা, এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায়, সিআই (এ) রণবীর বাগ। ছিলেন এই ঘটনার আইও বা তদন্তকারী অফিসারও। সেখানে নির্যাতিতার সহপাঠী-সহ ধৃত ৬ জনকে দফায় দফায় জেরা করা হয়। তাদেরকে মুখোমুখি বসিয়েও এক প্রস্থ জেরা করা হয় বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে এই ঘটনার পর নির্যাতিতার সহপাঠী বাদে বাকি ধৃত ৫ জন যে গ্রামে থাকেন সেই বিজড়া গ্রামের মানুষেরা বলতে কার্যত হতবাক। তারা বুঝে উঠতে পারছেন যে, এই ঘটনা কি করে ঘটলো। তাদের কথায়, এই ঘটনায় ঐ ৫ জনের নাম জড়িয়ে যাওয়াটা গোটা গ্রামের লজ্জা। তারা চাইছেন, যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই শাস্তি পাক।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ওই ডাক্তারি পড়ুয়া তার সহপাঠী ওই কলেজের ডাক্তারি ছাত্রর সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছিলো। তখন তাকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে গনধর্ষনক করা হয়েছে বলে ঐ ডাক্তারি পড়ুয়া অভিযোগ করেন। তখন সেখানে ৫ জন ছিলো। যদিও পরে আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, কোনো গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তা একজনই করেছে।