চিত্তরঞ্জন: সিএলডব্লু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির ৫৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) গৃহীত কয়েকটি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন সিআরএমসি-সমর্থিত জয়ী প্রার্থীরা। সোসাইটির সেক্রেটারির কাছে দেওয়া লিখিত আবেদনে তারা অভিযোগ করেছেন, শর্ট টার্ম ও লং টার্ম লোনে ৫% সুদের হার বাড়ানো হয়েছে, অথচ নির্বাচনের আগে একই হারে সুদ কমানো হয়েছিল। তাদের বক্তব্য, এই বাড়তি সুদের কারণে ঋণগ্রহীতাদের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে।
তাদের আরও দাবি, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল, এ বছরও একই হারে ডিভিডেন্ড দিতে হবে। পাশাপাশি, সিএমটিডি মান্থলি সেভিংস স্কিমে ন্যূনতম জমা ৫০০ টাকা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তকেও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থবিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছেন তাঁরা।
তবে এ বিষয়ে সিসিএস কর্তৃপক্ষের দাবি, সমবায় আইন অনুযায়ী বার্ষিক ১২ শতাংশের বেশি ডিভিডেন্ড দেওয়া যায় না। সরকারি অডিট বিলম্বিত হওয়ার কারণে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে লভ্যাংশ দেওয়া সম্ভব হয়নি, যা পরবর্তী বছরে একসঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। ফলে শেয়ারহোল্ডাররা আসলে দু’টি আর্থিক বছরের ডিভিডেন্ড একসাথে পেয়েছিলেন।
ঋণের সুদের হার বৃদ্ধির ব্যাখ্যায় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে শেয়ারহোল্ডারের সংখ্যা কমছে, অথচ ব্যয়ভার বাড়ছে। এই কারণে এজিএমের সম্মতিতে মাত্র ০.৫ শতাংশ সুদ বাড়ানো হয়েছে। তাদের দাবি, দীর্ঘমেয়াদে এর ফলে শেয়ারহোল্ডাররাই লাভবান হবেন। সিএমটিডি স্কিমেও আগের মতোই ৬ শতাংশ হার বজায় রাখা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করেছে।
সিসিএস কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছেন, সব সিদ্ধান্তই এজিএমে অনুমোদিত এবং অধিকাংশ শেয়ারহোল্ডারের এতে আপত্তি নেই।