কুলটি: পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল পুরসভার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুলটি থানার বরাকরের লখিয়াবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বোরো চেয়ারম্যান বেবি বাউরির বাড়ির পেছন থেকে রক্তাক্ত এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
মৃতদেহটি একই পাড়ার বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী কার্তিক বাউরির বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। আরো জানা গেছে, কার্তিক মাত্র ছয় মাস আগে এক কোটি টাকার লটারি জিতেছিলেন। কার্তিকের স্ত্রী বর্তমানে গর্ভবতী। মৃত কার্তিক বাউরির পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। তারপরে তাঁর মৃতদেহ তাঁদের বাড়ির বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যাতে কেউ সন্দেহ না করে যে, তাঁকে পরিকল্পনা খুন করা হয়েছে।
কার্তিকের পরিবারের এই অভিযোগ অস্বীকার করে বেবি বাউরি বলেন, কার্তিকের পরিবার মিথ্যা বলছে। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। চুরি করার উদ্দেশ্যে কার্তিক গভীর রাতে মুখে স্কার্ফ বেঁধে আমার বাড়িতে ঢুকেছিল। তিনি বারান্দায় ঘুমাচ্ছিলেন। চেকপোস্টে থাকা এক যুবক কার্তিকের পা ধরে। তারপর সে চিৎকার করে “চোর, চোর !” বলে চিৎকার করে। তখন কার্তিক পালানোর চেষ্টা করে দেওয়াল টপকে বাড়ির সামনের সিঁড়িতে পড়ে যায়। তাতে সে গুরুতর আহত হয়। চিৎকার শুনে এলাকার অনেকেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। কার্তিকের পরিবারের সদস্যরাও আসেন। তারা তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, তারপর থেকেই কার্তিকের পরিবার তাঁকে খুনের জন্য আমাদের দোষারোপ করে আসছে। পরিবারের দাবি, কার্তিক চুরি করতে আসেনি। কয়েকদিন আগে সে ১ কোটি টাকার লটারি জিতেছিল। তাহলে, কেন তাঁর আর্থিক সমস্যা হবে? সে কেনও কারোর বাড়িতে চুরি করতে যাবে? সে নিজের বাড়িও বানাচ্ছিল। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত কার্তিকের মৃত্যুতে রহস্যের দানা বাঁধছে।
এদিকে, কুলটি থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই যুবককে খুন করা হয়েছে, না তার মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনায় হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে ঠিক কি কারণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।










