কোলফিল্ড টাইমস: একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্যের নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সক্ষমতা নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সাংবাদিকদের সামনে বিরোধী নেতার দাবি—উত্তরপ্রদেশের মতো ‘যোগী আদিত্যনাথ মডেল’-এ অভিযুক্তদের দ্রুত ও কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত, প্রয়োজন হলে গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গেই কঠোর শাস্তি পাক। শুভেন্দুর কথায়, “অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেই ঝটপটই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
শুভেন্দু উদাহরণ হিসেবে কসবা ও দুর্গাপুরের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, এসব ঘটনার বিচারে রাজ্য প্রশাসনকে যেন কোনো রকম শিথিলতা দেখাতে না হয়। তিনি অভিযোগ করেন, অনেক ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়ে যাচ্ছে—সে কারণেই ‘কঠোর পদক্ষেপ’ আনার কথা বলছেন তিনি। তিনি বলেন, “কসবার ঘটনার পর অভিযুক্তদের ফাঁসি বিধানও হয়েছে—তবু কার্যকর করা হয়নি। রাজ্য সরকারের ভূমিকা কোথায়?”
অন্যদিকে তিনি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে এই ধরনের ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে সরাসরি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে না। “মুখ্যমন্ত্রী সব বিষয়ে কথা বলেন, কিন্তু এই ঘটনাগুলো নিয়ে নিশ্চুপ কেন?”—শুভেন্দু প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি আরও বলেন, রাজ্যে নারী নিরাপত্তা অবস্থার দিকে নজর দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।
শুভেন্দু বলেন, দুর্গাপুরের কেসে এখনো গ্রেফতারি নেই—এমন পরিস্থিতিতেই রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া জোরালো হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ক্ষেত্রে “পদ্ধতিগত দুর্বলতা” রয়েছে এবং তা মেটাতে কেন্দ্রীয় স্তরেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন।
শুভেন্দু এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, কসবা কাণ্ডের পর থেকে রাজ্য জুড়ে বিজেপি বিভিন্ন প্রতিবাদমূলক কর্মসূচি করে এসেছে, এবারও ধর্ষণ-নির্বাচন নীতি-প্রশাসনের ক্ষেত্রে তৎপরতা বাড়ানো হবে—সংগঠন বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে পারে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় পর্যায়ে পক্ষ-পক্ষের তীব্র আবেগ ও রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে ওই ঘটনাগুলো বিচার, তদন্ত ও তদারকির দাবি করেই সাংবাদিক বৈঠক শেষ করেন শুভেন্দু।