কোলফিল্ড টাইমস: তামিল অভিনেতা ও টিভিকে (তামিলগা ভেট্রি কাজাগম) প্রধান বিজয়ের সভায় পদপিষ্ট হয়ে ৪১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালত এই নির্দেশ জারি করে এবং তদন্তের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাসতোগিকে একটি বিশেষ মনিটরিং কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেছে।
কেন সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল
বিজয়ের দল টিভিকে-সহ একাধিক পক্ষ আদালতে আবেদন জানায় যে, শুধুমাত্র তামিলনাড়ু পুলিশের মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়। তাঁদের বক্তব্য, “ন্যায়সঙ্গত ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে একটি স্বাধীন তদন্ত অপরিহার্য।”
টিভিকে-র আবেদনে আরও বলা হয়েছিল, মাদ্রাজ হাইকোর্ট যে বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করেছিল, তা কেবল রাজ্য পুলিশের কর্মকর্তাদের নিয়েই গঠিত — ফলে নিরপেক্ষতার প্রশ্নে সন্দেহ থেকেই যায়। তাঁদের আশঙ্কা, এটি কোনও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রও হতে পারে।
আইনি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি
গত ১০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় রায় সংরক্ষণ করেছিল। এরপর সোমবার প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বিজেপি নেত্রী উমা আনন্দনের আবেদনের শুনানিতে সম্মতি দেয়, যিনি হাইকোর্টের সিবিআই তদন্ত প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।
এছাড়া বিজেপি নেতা জিএস মানিও একই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের জন্য পৃথকভাবে আবেদন করেন।
হাইকোর্টের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক
টিভিকে-র আবেদনে হাইকোর্টের কঠোর মন্তব্যের বিরোধিতা করা হয়। হাইকোর্ট মন্তব্য করেছিল, বিজয় ও তাঁর দলের অন্যরা পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পর সভাস্থল থেকে চলে যান এবং শোকপ্রকাশও করেননি। টিভিকে-র বক্তব্য, এমন সংবেদনশীল মামলায় তদন্ত অবশ্যই নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন হওয়া প্রয়োজন, কারণ এতে গাফিলতি ও ষড়যন্ত্র — দুইয়েরই অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টে কী বলা হয়েছে
পুলিশ জানিয়েছিল, সভাস্থলে প্রায় ১০,০০০ মানুষের উপস্থিতির অনুমান করা হলেও বাস্তবে ভিড় হয়েছিল প্রায় ২৭,০০০। বিজয়ের সভাস্থলে পৌঁছতে সাত ঘণ্টার বিলম্বও বিশৃঙ্খলার একটি বড় কারণ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন কী হবে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সিবিআই এখন থেকে মামলার দায়িত্ব নেবে। প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাসতোগির নেতৃত্বাধীন কমিটি তদন্তের প্রতিটি ধাপ পর্যবেক্ষণ করবে, যাতে তা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়।