ইউআরএমইউ/নর্দান রেলের উদ্যোগে ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান রেলওয়েমেন (এনএফআইআর)-এর ৩১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় নয়াদিল্লির কর্নেল সিং স্টেডিয়ামে। এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন এনএফআইআর-এর জাতীয় সভাপতি গুমান সিং এবং মহাসচিব ড. এম. রাঘবাইয়া।
তিন দিনের এই অধিবেশনে কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর মধ্যে রয়েছে— রেলের শূন্যপদ দ্রুত পূরণ, নতুন পেনশন স্কিম (এনপিএস/ইউপিএস) বাতিল করে পুরনো পেনশন স্কিম (ওপিএস) পুনর্বহাল, রেলওয়ে বেসরকারিকরণ ও চুক্তিভিত্তিক কাজের কড়া বিরোধিতা, এবং আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে রেলওয়ে হাসপাতাল রাজ্য সরকারের হাতে হস্তান্তরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এছাড়াও অবিলম্বে অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর, উচ্চপদে উন্নতির সুযোগ সহ ক্যাডার পুনর্গঠন, এবং গত ১৮ মাসের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ/ডিআর) প্রদানের দাবি জানানো হয়।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে চিত্তরঞ্জন রেলওয়েমেনস কংগ্রেস (সিআরএমসি)-এর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। সিআরএমসি-র সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং সিএলডব্লিউ/চিত্তরঞ্জন সম্পর্কিত একাধিক দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে— এনপিএস/ইউপিএস বাতিল করে ওপিএস প্রয়োগ, সিএলডব্লিউ-র পদ অন্য রেলওয়েতে স্থানান্তরের বিরোধিতা, ঠিকাদারদের স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ, ইএলএইউ/ডানকুনি কর্মীদের জন্য ৩০% এইচআরএ ভাতা, লোকোমোটিভ উৎপাদন- কর্মীদের জন্য প্রণোদনা, রেলকর্মীদের কোয়ার্টারের মেরামত ও নিকাশির ব্যবস্থা, এবং কেজি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি।
মহিলা কর্মীদের সমস্যা তুলে ধরেন অয়ন্তি ঘোষ, আর তরুণ কর্মীদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাহুল কুমার। এই অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে অলিম্পিক পদক বিজেতা কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এই দিনের মঞ্চে তার জন্মদিনেও উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের এই দিনে রাহুল গান্ধী উপস্থিত থাকতে না পারলেও তার শুভেচ্ছা বার্তা পাঠ করে শোনান সভাপতি নিজেসম্মেলনে এনএফআইআর-এর জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতির নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। চিত্তরঞ্জন থেকে ইন্দ্রজিৎ সিং পুনরায় জোনাল সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। নেপাল চক্রবর্তী, সঞ্জীব কুমার শাহি এবং আশিস ঘোষ কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
সংগঠনের মিডিয়া ইনচার্জ অমরেশ বর্ধন জানান, এই সম্মেলনের জোরালো সাফল্য রেলকর্মীদের মধ্যে “আনন্দ ও নতুন উদ্দীপনা” সৃষ্টি করেছে।