আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় নাটকীয় মোড়। যাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই, সেই প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট (নন মেডিক্যাল) আখতার আলিই এখন হয়ে গেলেন অভিযুক্ত। সোমবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে আখতারের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে শশীকান্ত ছন্দকেরও। সিবিআই-এর দাবি, টেন্ডার ও অন্যান্য আর্থিক লেনদেনে জড়িত ছিলেন আখতার।
প্রসঙ্গত, টালা থানায় আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আখতার আলি। তিলোত্তমা ধর্ষণকাণ্ডের পর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই এবং তাঁকে গ্রেফতার করে। তবে তদন্ত চলাকালীনই সামনে আসে আখতারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যোগের তথ্য। অভিযোগ, বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে টেন্ডারের বিনিময়ে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা জমা পড়েছে তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে। এমনকি বিদেশ ভ্রমণের খরচও বহন করেছে কিছু সংস্থা। এই অভিযোগ ওঠার পরেই আখতারকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর।
সোমবার দাখিল হওয়া ৩৩ পাতার চার্জশিটে ১৪৭ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করেছে সিবিআই। তবে সব নথি জমা না দেওয়ায় আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেনি। আগামী ৩ ডিসেম্বরের পরবর্তী শুনানিতে বাকি নথি জমা দিতে হবে তদন্তকারী সংস্থাকে। সিবিআই যেসব ধারায় চার্জশিট জমা করেছে, তার মধ্যে রয়েছে সরকারি আধিকারিক হিসেবে বিশ্বাসভঙ্গ, নথি জাল করা এবং ভুয়ো নথি সরকারি কাজে ব্যবহার।










