দুর্গাপুর : দুর্গাপুরে শোভাপুরে আই কিউ সিটি বেসরকারি কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডা অফিসের সামনে ধর্ণা মঞ্চের প্রস্তুতি নেয় বিজেপি।
সিদ্ধান্ত হয়, টানা ৬ দিন ধর্ণা অবস্থান করবে বিজেপি।
কিন্তু সোমবার সকালে হঠাৎই তাদের বাধা দেয় পুলিশ বাহিনী । যা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের সঙ্গে পুলিশ আধিকারিকদের বাকবিতন্ডা বেধে যায়। কিন্তু কোনও কথা না শুনে ও পুলিশের বাধা না মেনে ধর্না মঞ্চ তৈরি কাজ শুরু হয়। পরে সেই ধর্নায় যোগদান করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ধর্নায় বসে শুভেন্দুবাবু রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও পুলিশ প্রশাসনকে আক্রমণ করেন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরে না এসে উত্তরবঙ্গে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ওনার উচিত ছিল এখানে আসা ও নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলা। নির্যাতিতার বাবা-মাকে আশ্বস্ত করে পাশে দাঁড়াননি মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উনি যেটা করেননি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে, আমাকে সেটা করতে হচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন রাজ্যের ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন এই বাংলায় নারীরা সুরক্ষিত নন। এই ঘটনা গোটা দেশের কাছে বাংলার সম্মান ভূলুণ্ঠিত হল। তাই আমি বাংলার নাগরিক সমাজকে একজোট হয়ে রাস্তায় নামার আহ্বান জানাচ্ছেন।
শুভেন্দুবাবু বলেন, নির্যাতিতার বাবা তাঁর মেয়েকে আর এখানে রেখে পড়াশোনা করাতে চান না। তিনি মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান।
তিনি এদিন ধর্না অবস্থান থেকে পুলিশকে লাগামহীন আক্রমণ করেন। তাঁর কথায়, “যখন বীরভূমের পুলিশ অফিসারের মা ও স্ত্রীকে ধর্ষনের কথা বলা হয়েছিল তখন আপনারা কি করছিলেন? এখন আমাদের মঞ্চ খুলতে এসেছেন? মাইকের তার খুলছেন? বলছেন অনুমতি নেই। চেয়ার তুলতে আসুন। আমরা দেখে নেব”।
স্বাভাবিক ভাবেই এদিনের রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তপ্ত ছিল দুর্গাপুর। শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ।