জলপাইগুড়ি: ঘরের ছেলে ফিরল ঘরে। এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দিয়ে নেপালে আটকে গিয়েছিলেন শহরের বাসিন্দা তথা গবেষক ময়ূখ ভট্টাচার্য। শনিবার রক্সৌল সীমান্ত দিয়ে সড়কপথে দেশে ফেরেন ময়ূখ-সহ চার গবেষক। অগ্নিগর্ভ নেপালের আতঙ্কের রেশ এখনও যায়নি ময়ূখের মন থেকে। ছেলে ফেরায় হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন শহরের গোমস্তা পাড়ার ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা।
নেপালের কাঠমাণ্ডুতে জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দিতে গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির ময়ূখ, আলিপুরদুয়ারের মণিহার তালুকদার, দিনহাটার শৌভিক চক্রবর্তী ও ত্রিপুরার স্বপ্নজিৎ চৌধুরী। সেমিনার শেষে শহর ঘুরতে বেরিয়েই নেপালের গণবিক্ষোভের সাক্ষী হন তারা সবাই। শেষ ক’দিন হোটেলেই নিজেদের বন্দি করে রাখেন তারা।
এ দিকে, অনলাইনে লেনদেন ও এটিএম থেকে টাকা তুলতে না পারায় আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হন তারা। হোটেল কর্তৃপক্ষ ও নেপালের সেনা সহায়তা করেছে তাদের বলে দাবি। যোগাযোগ রাখে ভারতীয় দূতাবাসও।
এ দিকে পরিত্রাণ পেতে ময়ূখ যোগাযোগ করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় চন্দের সঙ্গে। তিনি আবার এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রামমোহন রায়ের। পরে, সড়কপথে ময়ূখেরা রক্সৌল এলে তিনি গাড়ি করে তাদের সবাইকে বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেন। জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গেও এ বিষয়ে যোগাযোগ করেন রামমোহন।
এ দিন সকালে ময়ূখদের গাড়ি গোমস্তাপাড়ায় পৌঁছলে প্রাণ ফিরে পান তার বাবা মিহির ও মা বৈশালি। ময়ূখ বলেন, “জেলা ও পুলিশ প্রশাসন যোগাযোগ রেখেছে। রামমোহন রায়ও যথেষ্ট উপকার করেছেন। নেপালের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিকে এখনও দুঃস্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে।” ছেলে সুস্থভাবে বাড়ি ফেরায় খুশি তার মা-বাবা।