Home / খবর / জেলায় জেলায় / ডিসেরগড়ে দামোদর নদে তলিয়ে যাওয়া বার্নপুর মাদ্রাসার দুই পড়ুয়া দেহ উদ্ধার

ডিসেরগড়ে দামোদর নদে তলিয়ে যাওয়া বার্নপুর মাদ্রাসার দুই পড়ুয়া দেহ উদ্ধার

ডিসেরগড় ও আসানসোল : বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে আসানসোলের কুলটি থানার ডিসেরগড়ে দামোদর নদে তলিয়ে যাওয়া দুই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হল রবিবার সকালে।

শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছিল ডিসেরগড় মাজার শরিফের ঠিক পেছনে। মৃত দুজন আসানসোলের বার্নপুরের রহমতনগরের আসরফিয়া মাদ্রাসার পড়ুয়া। দুই পড়ুয়ার নাম তনবীর আলম (১৫) ও ইমাম আলি ওরফে রাকিব (১৫) । তনবীর আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের বাসিন্দা। রাকিবের বাড়ি হিরাপুর থানার বার্নপুরে রহমতনগরে।

রবিবার সকালে ডিসেরগড়ে মাজার শরিফের অদূরে প্রথমে উদ্ধার হয় ইমাম আলির দেহ। পশ্চিম বর্ধমান জেলা সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকারী দল তার দেহ দামোদর নদ থেকে তোলে।

পরে আসানসোলের রেলপারের তনবীর আলমের দেহ উদ্ধার করে বাঁকুড়া জেলার সালতোড়া থানার পুলিশ। খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজনের শালতোড়া থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

রবিবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ইমাম আলির দেহর ময়নাতদন্ত হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে কাউকে কিছু না বলে বার্নপুরের রহমতনগরের আসরফিয়া মাদ্রাসার সাত পড়ুয়া ডিসেরগড়ে মাজার শরিফে আসে। পরে দুপুরের দিকে তারা মাজার শরিফের পেছনে দামোদর নদীতে আসে। সাতজনের মধ্যে দুজন তনবীর আলম ও মহঃ রাকিব দামোদর নদের ডিসেরগড় ঘাটে স্নান করতে নামে। এরপর তারা তলিয়ে যায়। তা দেখতে পেয়ে, উপরে থাকা বাকি পাঁচজন চিৎকার করে। তা শুনে আশপাশের লোকেরা ছুটে আসেন। তারাই প্রথমে দুজনকে উদ্ধার করতে নদীতে নামেন। কিন্তু তারা কিছু করতে পারেননি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কুলটি থানার পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সিভিল ডিফেন্সের রেসকিউ টিম পৌঁছায়। শেষ পর্যন্ত রবিবার সকালে তাদের দেহ উদ্ধার হয়।
স্বাভাবিক ভাবেই এদিন দেহ উদ্ধারের পরে দুজনের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পুলিশ জানায়, শনিবার তলিয়ে যাওয়া দুই পড়ুয়ার দেহ এদিন সকালে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ডিসেরগড় ও বাঁকুড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *