নেপালের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করলেন সুশীলা কার্কী। দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর এ বার প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও শপথ নিলেন তিনি। শুক্রবার রাত সওয়া ৯টায় রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের কাছে শপথ নেন ৭২ বছরের এই অভিজ্ঞ আইনজীবী। রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল আবাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর আন্দোলনকারীদের তরফে বিভিন্ন নাম সামনে আসে। প্রথমে কাঠমান্ডুর নির্দল মেয়র এবং জনপ্রিয় র্যাপার বলেন্দ্র শাহর নাম আলোচনায় ছিল। পরে প্রাক্তন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কুল মান ঘিসিঙের নামও উঠে আসে। তবে শেষ পর্যন্ত ছাত্র-যুব আন্দোলনের নেতৃত্ব ভোটাভুটির মাধ্যমে সুশীলার নামেই সিলমোহর দেয়। এমনকি বলেন্দ্র শাহ নিজেও তাঁর প্রার্থিতাকে সমর্থন করেন।
২০১৬ সালে নেপালের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীর আমলে প্রধান বিচারপতির পদে বসেছিলেন সুশীলা। তারও আগে তিনি ছিলেন সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। কর্মজীবন শুরু করেছিলেন শিক্ষিকা হিসেবে। পরে যোগ দেন বিচারব্যবস্থায়। নির্ভীক, সৎ ও যোগ্য প্রশাসক হিসেবে তাঁর বিশেষ সুনাম রয়েছে।
ছাত্র-যুব আন্দোলনের দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিচ্ছেন সুশীলা। ফলে এক অশান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই নেপালের কুর্সিতে বসলেন দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী।