গাজা সংঘাত শেষ করতে ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বললেন— শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবাই একসঙ্গে এগিয়ে আসুক
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা সংঘাতের অবসানের জন্য ঘোষিত বিস্তৃত পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ ট্রাম্পের এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়ে সংঘাতের ইতি টানতে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করবে।
হোয়াইট হাউসের তরফে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ এবং গাজার প্রশাসন সংক্রান্ত ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই প্রতিক্রিয়া জানান মোদী। তবে ইজরায়েল বা হামাসের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
এর আগে সোমবার ট্রাম্প ও ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যৌথভাবে জানান, তাঁরা গাজা যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছেন, যদিও হামাসের অবস্থান এখনও পরিষ্কার নয়।
ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় একটি অস্থায়ী প্রশাসনিক বোর্ড গঠনের কথা বলা হয়েছে, যার নেতৃত্বে থাকবেন ট্রাম্প নিজে এবং প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। প্রস্তাবে গাজা ছাড়ার কোনও নির্দেশ নেই এবং উভয় পক্ষ রাজি হলে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ইজরায়েলের সম্মতির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাসকে সব বন্দিদের মুক্তি দিতে বলা হয়েছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, হামাস যদি এই শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে, তবে ইজরায়েলকে “পূর্ণ সমর্থন” দেবে আমেরিকা, যাতে তারা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটিকে পরাজিত করতে পারে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, “যদি হামাস আপনার পরিকল্পনা মানতে অস্বীকার করে, বা মুখে রাজি হয়ে বাস্তবে বাধা দেয়, তাহলে ইজরায়েল একাই কাজ শেষ করবে। সহজ পথে হোক বা কঠিন পথে— কাজটা শেষ হবেই।”
ট্রাম্প ফিলিস্তিনি জনগণকেও আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন নিজের ভবিষ্যতের দায়িত্ব নেয় এবং এই শান্তি প্রস্তাবকে গ্রহণ করে।
এদিকে, সোমবার নেতানিয়াহু কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানির কাছে সাম্প্রতিক এক সামরিক হামলার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ওই হামলায় হামাসের কর্মকর্তারা লক্ষ্যবস্তু হন, যা আরব দেশগুলির ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং ইজরায়েলের বিরুদ্ধে বিরলভাবে মার্কিন সমালোচনার জন্ম দেয়।