আগামী এক দশকে ভারতে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন অর্থাৎ প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে জাপান। জাপান সফরে গিয়ে এই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মোদী বলেন, ‘‘আমরা কৌশলগত এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপে নতুন ও সোনালি অধ্যায়ের সূচনা করছি। পরবর্তী দশকের জন্য আমাদের রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে। আগামী এক দশকে জাপান ভারতে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগ করবে।’’
এই বিনিয়োগ মূলত প্রযুক্তিনির্ভর খাতে হবে। বিশেষ করে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, সেমিকনডাক্টর, বিরল খনিজ, ডিজিটাল পার্টনারশিপ, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন এবং মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে জাপান ভারতের পাশে দাঁড়াবে। দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে ডিজিটাল অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যেতে নানা প্রকল্প নেওয়া হবে। পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উদ্ভূত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান।
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, ভারতের উন্নয়নে জাপান সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জাপান ভারতের অন্যতম বড় বাণিজ্যসঙ্গী এবং বিনিয়োগ উৎস। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতে ৪ হাজার ৩১০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ করেছে জাপান। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত-জাপানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৮৫ কোটি ডলার।
এর আগে ২০২২ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতে ৩ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের লক্ষ্য স্থির করেছিল জাপান। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার দু’বছর আগেই সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে আগামী এক দশকের জন্য আরও বৃহত্তর বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে জাপান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিনিয়োগ ভারতের অর্থনীতিকে শুধু শক্তিশালী করবে না, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ অভিযানে ভারতকে আরও আত্মনির্ভর করে তুলবে। দুই দেশের এই দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা এশিয়ায় একটি নতুন শক্তির ভারসাম্য তৈরি করবে বলেও মত বিশ্লেষকদের।