২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হিলারি ক্লিনটন। এবার তিনিই ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। তবে শর্ত একটাই— ইউক্রেনের কোনও অঞ্চল রাশিয়ার হাতে না দিয়ে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে ট্রাম্পকে।
‘রেজিং মডারেটস’ নামে একটি পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্লিনটন বলেন, “যদি ট্রাম্প এই ভয়াবহ যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে পারেন, ইউক্রেনকে তাদের ভূখণ্ড ছাড়তে না হয় এবং যদি তিনি সত্যিই পুতিনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এই সংঘাত মেটাতে পারেন, তা হলে আমি তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতাম।”
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির থেকে হোয়াইট হাউস পর্যন্ত ট্রাম্পকে নোবেল দেওয়ার দাবি তুলেছেন। এমনকি ট্রাম্প নিজেও নরওয়ের এক মন্ত্রীকে ফোন করে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তদ্বির করেছেন বলে খবর। সমর্থকদের দাবি, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত-সহ ছয়টি যুদ্ধ না কি তিনি থামিয়েছেন।
এদিকে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারবেন তিনি। তবে এখনও তা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, পুতিন একটি শান্তিচুক্তি করতে রাজি। তবে বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ বলেই মনে করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারে হিলারি ক্লিনটন ট্রাম্পকে ‘অপ্রস্তুত ও প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য’ বলে আক্রমণ করেছিলেন। পুতিনের প্রশংসা করার জন্যও ট্রাম্পের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। তখনও ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায়নি রাশিয়া।