প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ইস্তফার পরও অশান্ত নেপাল। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের শাসনভার আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে নিল সেনাবাহিনী। বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের দায়িত্বে থাকবে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে কার্ফু জারি করা হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় সেনার টহল চলছে।
যদিও বুধবার সকাল থেকে বড় কোনও অশান্তি হয়নি, তবুও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ অব্যাহত। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বাঁকে জেলার সংশোধনাগারে বন্দিদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বন্দিরা জেল ভাঙার চেষ্টা করলে গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা। তাতে সাত জন আহত হন, পরে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে আন্দোলনের জেরে নেপালের বিভিন্ন জেল থেকে অন্তত ১৬০০ বন্দি পালিয়েছে বলে খবর। বাঁকে ও পোখরান জেল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বত্র সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
কাঠমান্ডু থেকে শুরু হওয়া ছাত্র-যুব বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। সোমবার ও মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের আগুনে পুড়ে যায় সংসদ ভবন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ওলি এবং কয়েকজন মন্ত্রীর বাড়ি, এমনকি সুপ্রিম কোর্ট ভবনও।
অশান্তির মাঝেই মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাপ্রধান অশোকরাজ সিগডেল। তাঁদের দাবিদাওয়া শোনার চেষ্টা চলছে। সূত্রের খবর, বুধবার রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হতে পারে। সেনা মধ্যস্থতায় সেই বৈঠক থেকেই সমাধানের পথ বেরোবে কি না, সেদিকেই এখন নজর সবার।