Home / খবর / জেলায় জেলায় / পড়ুয়া না থাকায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা, পাণ্ডবেশ্বরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দর্জির দোকানের দেওয়ালে ধাক্কা পুলকারের

পড়ুয়া না থাকায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা, পাণ্ডবেশ্বরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দর্জির দোকানের দেওয়ালে ধাক্কা পুলকারের

পাণ্ডবেশ্বর : নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটা দর্জির দোকানের দেওয়ালে ধাক্কা মারল পাণ্ডবেশ্বরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পুলকার। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বেলা দশটা নাগাদ পাণ্ডবেশ্বরের ফুলবাগান মোড়ের দুর্গা মন্দিরের সামনে। ঘটনার পরে ওই পুলকার চালক সহ দুজনকে আটক করে পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ। আটক করা হয়ে পুলকারটিকেও। তবে এই পুলকারে ছিল না কোনও পড়ুয়া । এদিন পুলকারটি চালাচ্ছিলেন, যিনি এই পুলকার নিয়মিত চালান তার এক বন্ধু। এদের দুজনেরই নেই কোনও গাড়ি চালানোর লাইসেন্স।

জানা গেছে, এদিন সকালে পান্ডবেশ্বরের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পুলকারটি ফুলবাগান মোড়ে দুর্গা মন্দিরের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে গিয়ে একটা দর্জির দোকানে ধাক্কা মারে। ঘটনায় দোকানের দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দোকানদারের দুটি সাইকেল। কোনক্রমে ভেতরে ঢুকে পড়ায় প্রাণে বাঁচেন দর্জি। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পান্ডবেশ্বর থানার পুলিশ পৌঁছায়। পুলকার সহ ২ যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা তথা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সত্যেন্দ্র প্রসাদ যাদব বলেন, যেভাবে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এসে দোকানটাতে ধাক্কা মারে তাতে বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। তিনি বলেন, গাড়িটি চালাচ্ছিল তাকে দেখে একেবারে নাবালক বলে মনে হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের কাছে আর্জি রাখেন যেন গাড়ির মালিকদের কে পরিষ্কার ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয় অভিজ্ঞ লাইসেন্সধারী চালক দিয়েই যেন এই ধরনের স্কুলের ভ্যান চালাবার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

খনি অঞ্চল তথা শিল্পাঞ্চলের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলির পুলকার চালকদের গাড়ি চালানো নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠল এদিনের এই ঘটনার পরে । প্রায়শই দেখা যায় অধিকাংশ পুলকার চালকের নেই কোনও গাড়ি চালানোর বৈধ লাইসেন্স। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছোট ছোট চারচাকা গাড়িতে একেবারে ঠাসাঠাসি করে বসিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পুলকার ছুটে যাচ্ছে স্কুলের উদ্দেশ্যে।এরকম চিত্র প্রত্যেকদিন সকালবেলাতেই খনি অঞ্চল তথা শিল্পাঞ্চলে দেখা যায়। এই ধরনের গাড়ি নিয়ে কতটা উদাসীন পুলিশ প্রশাসন। পাশাপাশি উদাসীন অভিভাবকরাও। তারা কেউই দেখেন না যে, এই ধরনের গাড়ির যেকোন সময় পুলকারের মধ্যে ছেলে-মেয়েদের বিপদ ঘটতেই পারে। অধিকাংশ পুলকারেই নেই ফিটনেস সার্টিফিকেট। এলাকার যে সমস্ত বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলি রয়েছে তারাও এই ধরনের গাড়ি চলাচলের জন্য কেন অনুমতি দেয় ? এটা নিয়েও করছে প্রশ্ন। এর আগেও বহুবার পুলকার দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বহু ছাত্র-ছাত্রী। তারপরে পদক্ষেপ নেয় পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবার সেই ঢিলেঢালা মনোভাব । সোমবারের পাণ্ডবেশ্বরের ঘটনা, তা আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

এদিনের ঘটনার পরে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *