অভিষেক সেনগুপ্ত, জলপাইগুড়ি: শহরকে ড্রাগমুক্ত করতে পরিকল্পনা পুর কর্তৃপক্ষের। বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে অরাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে সচেতনতা বাড়ানোর পরিকল্পনা উপ পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের।
শুধু শহর নয়, পরবর্তীতে জেলার বিভিন্ন অংশে পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে কর্মসূচি নেবে নবগঠিত ‘জলপাইগুড়ি অ্যান্টি নারকোটিক ড্রাগস ক্যাম্পেইন প্লাটফর্ম’। আগামী দু’বছরের মধ্যেই সদর শহর ও জেলায় ড্রাগের রমরমা কারবার বন্ধ করার দাবি করলেন উপ-পুরপ্রধান।
দীর্ঘ সময় ধরেই শহর ও লাগোয়া এলাকায় ব্রাউন সুগার, ইয়াবা-সহ মাদক দ্রব্যের ব্যবহার বেড়েছে। পুলিশি অভিযানেও অবস্থার বদল হয়নি বলেই অভিযোগ। শহরের নতুন প্রজন্মের একাংশ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। শহরে বাড়ছে অপরাধপ্রবণতাও। শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদক দ্রব্য মজুত করে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। শহরের ৬,৭, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ড সহ একাধিক ওয়ার্ডে নিত্যদিন নিষিদ্ধ নেশার আসর বসছে বলেও অভিযোগ শহরবাসীর বড় অংশই।
পুলিশের তরফে অভিযান চললেও পরিস্থিতির বদল হয়নি বলেই অভিযোগ শহরের একাংশ প্রবীণদের। সম্প্রতি পুজোর ছুটির মধ্যে একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ গড়া হয় মাদকের রমরমা কারবার রুখতে। এ বারে এগিয়ে এলেন পুরসভার উপ পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে নীলম চক্রবর্তী শর্মা, সুব্রত পাল, মনীন্দ্র নাথ বর্মণ-সহ ৯ জন পুর প্রতিনিধি, বিভিন্ন ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন৷
সৈকত বলেন, “পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় থাকলেও নেপাল, বাংলাদেশ ও ভূটান সীমান্ত দিয়ে মাদক সামগ্রী শহরে মজুত হচ্ছে। আগামী প্রজন্মের একাংশ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। আমরা দু’বছরের জন্য নিবিড় কর্মসূচি গ্রহণ করছি। ২০২৭ সালের অক্টোবরের মধ্যে মাদকমুক্ত শহর গড়া হবে।” সৈকতের দাবি, মোট চারটি পর্যায়ে কর্মসূচি চলবে। বুধবার থেকেই শুরু করা হবে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক প্রচার চলবে স্থানীয় কাউন্সিলার, ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে নিয়ে। কিশোর ও যুব নেশাসক্তদের অভিভাবকেরা চাইলে বিনামূল্যে বা ন্যূনতম মূল্যে কাউন্সেলিং ও রিহ্যাবের ব্যবস্থা করা হবে ওই মঞ্চের তরফে। মাদক ব্যবসায়ীদের বিষয়ে গোপন খবর কেউ দিতে চাইলে টোল ফ্রি নম্বরের (৮৩৮৯৮-৪৫২৮৬) সংস্থান করা হয়েছে। মঞ্চের তরফে মাদক ব্যবসায়ীদের সনাক্ত করে পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও করা হবে।
সৈকত বলেন,”প্রেসক্রিপশন ছাড়া যাতে ঘুমের ওষুধ, কাশির ওষুধ বিক্রি না হয় সেজন্য ড্রাগ কন্ট্রোলারের দফতরের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ থাকবে।”










