সৈকত চট্টোপাধ্যায়, পুর প্রধান
জলপাইগুড়ি: পুরপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েই বিতর্কে সৈকত চট্টোপাধ্যায়। শহরের এক উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকাকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল সৈকতের বিরুদ্ধে। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা। ওই ঘটনা নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন বলে দাবি প্রধান শিক্ষিকা ও সহ-প্রধান শিক্ষিকার। এ দিকে, নিজের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করলেন সৈকত।
ঘটনাটি চলতি বছরের ৪ জানুয়ারির। সুনীতিবালা সদর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ঘটনা৷ ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাস কান ধরে ওঠবোস করছেন। আর সহ-প্রধান শিক্ষিকা অরূণিমা মৈত্র পা ধরে রয়েছেন সৈকতের। বিরোধী দলনেতা এই ফুটেজ পোস্ট করতেই (সত্যতা যাচাই করেনি কোলফিল্ড টাইমস) চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শহরের রাজনৈতিক মহলে। শুভেন্দু নিজের পোস্টে লেখেন ‘জলপাইগুড়ির তৃণমূল কাউন্সিলার তথা ভাইস চেয়ারম্যানের পদোন্নতি হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে উন্নীত হয়েছেন তিনি। মনে হয় শিক্ষিকা মহাশয়া কে অপদস্থ করার পুরস্কারপ্রাপ্তি ঘটেছে।’ সঙ্গে স্কুলের অন্য ছবিও দেন তিনি৷ লেখেন, ‘যে ব্যক্তি নারীকে এই ভাবে অপমান করতে পারেন, এর আগেও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা ছিল, সেই সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে কী করে পুরসভার চেয়ারম্যান করতে পারে তৃণমূল…..’।

সুতপা দাস, প্রধান শিক্ষিকা
সুতপা বলেন, “এটা তারই চেম্বারের সিসিটিভি ফুটেজ। ঘটনার ফুটেজ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর ও রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে আগেই পাঠান হয়েছিল। আমরা আইনের দ্বারস্থও হব।”
ঘটনায় অভিযুক্ত সৈকতের দাবি, এই ফুটেজ এআই দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ঘটনার পরেই কেন ওরা অভিযোগ জানালেন না। অভিযোগকারিনীদের বিরুদ্ধে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিতে চলেছেন।

বিতর্কিত ফুটেজ
সৈকত বলেন, “স্কুলে মিডডে মিলের অনিয়ম নিয়ে পরিচালন সমিতির সভাপতি হিসেবে সরব হয়েছিলাম। আরও কিছু অভিযোগ ছিল। অভয়ার মৃত্যু নিয়ে স্কুলের ভেতরেই বৈঠক করতে চাওয়ায় আমি নিষেধ করেছিলাম।”










