অভিষেক সেনগুপ্ত, জলপাইগুড়ি: মাদকাসক্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে শহর ও শহর লাগোয়া এলাকায়। বিপথে চলে যাচ্ছে কিশোর, যুবক-যুবতীরা। শহর ও লাগোয়া এলাকায় ব্রাউন সুগারের রমরমা কারবার রুখতে গঠিত হল ড্রাগ ফ্রি জলপাইগুড়ি কমিটি। শহর ও সংলগ্ন এলাকার বেশ কয়েকজন মিলে গঠন করলেন এই কমিটি। রাজবাড়ির দীঘি প্রাঙ্গনে প্রথম বৈঠকে বসেন আয়োজকেরা। গঠন করা হল কমিটিও।
শহরবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরেই ব্রাউন সুগার-সহ ড্রাগের ভয়াবহ কারবার চলছে শহরে৷ বাদ নেই শহর লাগোয়া গ্রামীণ এলাকাও। সর্বনাশা নেশার শিকার হচ্ছে কিশোর-কিশোরী থেকে যুব সম্প্রদায়ের বড় অংশই। বদলে যেতে বসেছে শহরের ঐতিহ্য। বিএস-এর নেশার কারণে অপরাধমূলক নানা কাজেও জড়িয়ে পড়ছে যুব সম্প্রদায়ের একাংশ। পুলিশি অভিযানেও তেমন ফল মিলছে না বলেই অভিযোগ।
আগামী প্রজন্মকে সুস্থ জীবন দিতে এক বিশেষ সভা হল রাজবাড়ির দীঘি প্রাঙ্গনে। হাজির ছিলেন শহরের পুর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি মহুয়া দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষক গৌতম দাস, সমাজসেবী অজয় শা, সানুপাড়ার পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ ঘোষ, নিত্যানন্দ বর্মণ-সহ অনেকে।
মাদকের বিরুদ্ধে কিভাবে লড়াই চালানো হবে তার একটা প্রাথমিক রূপরেখা ঠিক করা হয় এ দিন। দীর্ঘদিন ধরেই শহরে মাদক ব্যবসা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন অজয় শা। তাকে এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মহম্মদ মইনুল, যুগ্ম সহ-সভাপতি হলেন গণেশ ঘোষ ও জয়ন্ত ভৌমিক।

কমিটির সভাপতি অজয় শা (মাঝে) ও শিক্ষক গৌতম দাস (ডানে)।
অজয় শা বলেন, “ছাত্র সমাজ ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে আর আমরা দাঁড়িয়ে দেখব তা হয় না। আজ প্রচুর অভিভাবক আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। পুজোর পর্ব মিটলে, আমরা কীভাবে এগোব, পুলিশ প্রশাসনকে কী দাবি জানাবো, সে গুলি নিয়েই আলোচনা হল। আগামীতে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থান নিতে চলেছি।”










