আসানসোলে মহকুমাশাসক বা এসডিও (সদর) কার্যালয়ে শনিবার আসানসোল উত্তর বিধানসভার বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এদিন থেকে রাজ্য জুড়ে বিএলওদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে।
৪ নভেম্বর থেকে এই বিএলওরা রাজ্য জুড়ে এসআইআর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বাড়ি বাড়ি যাবেন। তারা লোকেদেরকে ফর্ম দেবেন। পরে সেই ফর্ম পূরণ হওয়ার পরে বিএলওরা সেই ফর্ম নিয়ে যাবেন। তারা একমাসে তিনবার ( ৪ ডিসেম্বর) একটা বাড়িতে যাবেন। এইসব কিছু নিয়ে বিএলওদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এদিন প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে বেশ কিছু বিএলও বলেন, এটা একটি সরকারি কাজ। যা আমাদের অবশ্যই পালন করতে হবে। এই কাজ পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করবে। তারা আরও যোগ করেছেন যে ম্যাপিং এবং ম্যাচিং ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এদিন কিভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হবে, সে সম্পর্কে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সুপারভাইজার অজয় সিং বলেন, আমার অধীনে সাতজন বিএলও রয়েছেন। প্রশাসন তাদের কি করতে হবে সে সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরও যোগ করে বলেন, ২০০২ সালের পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই বছরের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে, যদি তাদের বাবা-মা বা অন্য রক্তের আত্মীয়দের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকে, তাহলে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই বছরের ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে। যদি কারও ভোটার তালিকায় থাকে, তাহলে তার নাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে থাকবে। যাদের নাম পাওয়া যাবে না, তাদের জন্য শুনানিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, নথিপত্রই চূড়ান্ত। এমন পরিস্থিতিতে, কোনও বিএলওর হাতে কিছু নেই। তিনি চাইলেও ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম মুছে ফেলতে বা যুক্ত করতে পারবেন না। নথিপত্রে যা আছে তা স্বচ্ছতার সাথে ভোটার তালিকায় উপস্থিত হবে।
এ বিষয়ে আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, এদিন অফিসে বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলওদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার জন্য এটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বিএলও, বিএলএ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত সকলের সহযোগিতায় এসআইআর প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে হবে।










