Home / খবর / জেলায় জেলায় / বারাবনিতে বন্ধ ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার দম্পতির ঝুলন্ত দেহ, আটক তিন

বারাবনিতে বন্ধ ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার দম্পতির ঝুলন্ত দেহ, আটক তিন

বারাবনি: বন্ধ ঘরের ভেতরে সিলিংয়ের দড়িতে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলের বারাবনি থানার জামগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের রসুনপুর গ্রামে। মৃত দম্পতির নাম- নির্মল মণ্ডল (৪৫) ও জ্যোৎস্না মণ্ডল ৩৭)।

বারাবনি থানার পুলিশ আটক করেছে নির্মল মণ্ডলের দাদা উত্তম মণ্ডল, বৌদি পুতুল মণ্ডল ও তাদের ছেলে বিষ্ণুকে । মৃত দম্পতির বিবাহিতা মেয়ে আসানসোলের সালানপুরের বাসিন্দা বর্ষা পাতর বাবা-মায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে এবং গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে বারাবনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে তিনি বলেন, জ্যাঠা, জেঠিমা ও তাদের ছেলে আমার মা ও বাবার উপর মানসিক নির্যাতন করত। তারা আমার মা-বাবাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিত। সবসময় অকথ্য ভাষায় কথা বলত। সোমবারও একই ঘটনা ঘটে। পরে এদিন সকালে এলাকার বাসিন্দারা আমাকে সকালের বাবা-মায়ের কথা বলেন।

জানা গেছে, মৃতা জ্যোৎস্না মণ্ডলের বাপের বাড়ি জামুরিয়া থানার অন্তর্গত চুরুলিয়ার বাগুলি গ্রামে। বছর ২০ আগে তার সঙ্গে বারাবনি থানার অন্তর্গত জামগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রসুনপুর গ্রামের নির্মল মন্ডলের বিয়ে হয়। তাদের এক মেয়ে বর্ষা ও ১২ বছরের এক ছেলে আছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে এই দম্পতির সঙ্গে পারিবারিক জমিজমা নিয়ে বিবাদ চলছিল দাদা উত্তম মন্ডল ও বৌদি পুতুল মন্ডলের সঙ্গে। স্বামী-স্ত্রী এদিন সকাল সাড়ে নটা দশটা নাগাদ ১২ বছরের ছেলেকে পাশের রুমে শুইয়ে দেন। এরপরে তারা নিজেদের ঘরে ঢুকে সিলিংয়ের কাঠের বিমে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। খবর পাওয়ার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা বারাবনি থানায় খবর দেন। সেই মতো পুলিশ আসে। পরে পুলিশ বন্ধ ঘরের অন্য দিকে থেকে দরজা খুলে দেখে দম্পতিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। আরো জানা গেছে, বন্ধ দরজাতে ইটের অনেক টুকরো পড়ে ছিল।

পুলিশ জানায়, দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মেয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বুধবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে দম্পতির মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হবে।

alternatetext
Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *