Home / খবর / জেলায় জেলায় / সরকারি প্রকল্পের প্রচারে গান বাঁধলেন বিডিও, বাজছে ৯৪টি শিবিরে

সরকারি প্রকল্পের প্রচারে গান বাঁধলেন বিডিও, বাজছে ৯৪টি শিবিরে

screenshot 20250819 172711~2

জলপাইগুড়ি: গান বাঁধলেন সরকারি আধিকারিক। পুজো বা প্রেম-বিরহের নয়। সরকারি প্রকল্পের প্রচারে গান রচনা করলেন সদর বিডিও মিহির কর্মকার। সে গান সুপারহিট। সদর ব্লকের ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের ৯৪টি শিবিরেই বাজছে সে গান। গান শুনে খুশি শিবিরে আসা মানুষজনও। ওই আধিকারিকের প্রশংসায় জনপ্রতিনিধি ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও।

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের নিমতলা-চুনাখালি এলাকায় নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিডিও। কর্মস্থলে ফেরার পথে, ৭ ঘন্টার যাত্রায়, লিখে ফেলেছেন ‘এবার নতুন প্রকল্পে গল্পে গল্পে, চাইব আমি সমাধান’ গানটি। সুরও দিয়েছেন তিনিই। গানটি গেয়েছেন অভিজিৎ ধর। সেই গান এখন সুপার হিট। সদর ব্লকের পাড়ায় সমাধানের ৯৪টি শিবিরেই বাজছে এই গান।

এলাকার সমস্যা নিয়ে শিবিরে আসার আহ্বান জানান হয়েছে এই গানে। গানের সুর মন ছুঁয়ে যাচ্ছে শিবিরে আসা মানুষজনদেরও। খরিজা বেরুবাড়ি-২ অঞ্চলের শিবিরে আসা এক স্থানীয় বলেন, “শিবিরে বিডিও সাহেবের গান চলছে শুনলাম। গানটা বেশ ভালোই লাগল।”

সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনয় কুমার রায় বলেন, “উনি খুব উদ্যোগী মানুষ। সবসময় নতুন কিছু করার জন্য উদগ্রীব থাকেন।” সদর মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “উনি চমকপ্রদ ও উৎসাহব্যঞ্জক কাজ করেছেন।”

বাড়িতে সাংস্কৃতিক পরিবেশ দেখেছেন ছোট থেকেই। বাবা মহাদেব কর্মকার বাঁশি, খোল ভাল বাজাতেন। কলেজ জীবনে কবিতাও লিখেছেন মিহির। তবে, এই প্রথম গান লিখলেন মিহির কর্মকার। সে গান যে এতটা জনপ্রিয়তা পাবে তা ভাবতে পারেননি বিডিও। তিনি বলেন, “আমার পরিকল্পনা রূপায়নে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক স্বরূপ বিশ্বাস ও আমার দফতরের আধিকারিক, কর্মীরা খুব সহায়তা করেছেন। এই গান শুনে একজনও যদি শিবিরমুখী হন সেটাই বড় পাওনা। আমি চাই, সরকারি প্রকল্প গুলির সুবিধা মানুষ পাক।”

screenshot 20250819 172029~2

এক শিবিরে উপভোক্তাকে সহায়তা করছেন বিডিও মিহির কর্মকার (মাঝে)

ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, বুথ পিছু কমবেশি শ তিনেক মানুষ শিবিরে আসছেন। সৌর-পথবাতি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংস্কার-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে। ভাল সাড়াও পড়েছে। ব্লক অফিসের একাংশ কর্মীর অভিমত, বিডিও সাহেবের গান শুনেও অনেকেই আসছেন শিবিরে।

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *