ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়া শুরু হতেই রাজ্যে নানা প্রশ্ন ও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক দল থেকে সাধারণ নাগরিক—সব মহলেই উদ্বেগের সুর। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল জানালেন, “আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এটি একটি নিয়মিত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া, যা অতীতেও বহুবার হয়েছে।”
মনোজ আগরওয়াল সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, “বিহারে পশ্চিমবঙ্গের চেয়েও ভোটার সংখ্যা অনেক বেশি। সেখানে কোনও প্রস্তুতি বা প্রশিক্ষণ ছাড়াই সময়মতো প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাংলায় আমরা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।”
তিনি আরও জানান, ভোটার তালিকায় সংশোধনের জন্য আধার কার্ড গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র হিসেবে গণ্য হবে। কেউ বাড়িতে না থাকলে পরিবারের অন্য সদস্য এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। প্রত্যন্ত এলাকার নাগরিকদের সচেতন করতে প্রচার চালানো হবে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায়—মাইকিং, পোস্টার, এবং সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে।
বিএলওদের নিরাপত্তা ও কার্যপ্রণালী নিয়েও আশ্বস্ত করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। তাঁর কথায়, “বিএলওরা এলাকাভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। তাঁরা আগাম খবর দিয়ে বাড়ি পরিদর্শনে যাবেন। প্রয়োজনে তিন-চারবারও যাবেন।”
১১টি নথি না থাকলেও নাগরিকত্ব যাচাইয়ের অন্য প্রমাণ গ্রহণযোগ্য হবে বলে জানান আগরওয়াল। তিনি বলেন, “নিজের নাম ও বাবা-মায়ের নাম থাকলেই প্রাথমিকভাবে কোনও সমস্যা হবে না। প্রয়োজনে শুনানির মাধ্যমে যাচাই করা হবে”।
তিনি আরও জানান, আপাতত ভোটার তালিকা ‘ফ্রিজ’ করা হয়েছে। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নতুন নাম তোলার সুযোগ আসবে। এনআরসির সঙ্গে এই প্রক্রিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই বলেও স্পষ্ট জানান সিইও।
রাজ্যের কিছু এলাকায় বিএলওদের ওপর হুমকির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এমন কোনও তথ্য কমিশনের কাছে আসেনি। তবে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখার দিকে নজর থাকবে।”
শেষে মনোজ আগরওয়াল বলেন, “এটি নাগরিকদের স্বাভাবিক অধিকার ও দায়িত্বের অংশ। ভয় বা বিভ্রান্তি নয়—সঠিক তথ্য জানুন, দায়িত্ব পালন করুন।”










