স্নাতকে ৪৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া এবং ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত, তবে দাগমুক্ত শিক্ষকদের নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার আবেদন নিয়ে নড়েচড়ে বসল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ জানায়, আবেদনকারীরা ফর্ম ফিল-আপের জন্য অতিরিক্ত সাত দিনের সময় পাবেন। তবে নিয়োগ পরীক্ষা পিছোনো হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। পাশাপাশি ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, একবার চাকরি পেয়েছিলেন বলে অতিরিক্ত সুবিধা চাওয়ার প্রশ্ন নেই। আইন অনুযায়ী নতুন যোগ্যতার শর্ত মেনেই পরীক্ষায় বসতে হবে। আদালত আরও স্পষ্ট জানায়, কাউকে বাড়তি ছাড় দেওয়া হবে না। যাঁরা বর্তমানে চাকরিতে আছেন, তাঁরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মরত থাকতে পারবেন, কারণ তাঁরা অযোগ্য নন। কিন্তু তার পরেও বাড়তি সুবিধা দাবি করা উচিত নয়।
উল্টোদিকে মামলাকারীদের আইনজীবী অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার নাকি অযোগ্য প্রার্থীদের ফের নিয়োগে সুযোগ করে দিতে চাইছে। বিচারপতি কুমার এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, ‘‘রাজ্য সরকারের অভিপ্রায় সঠিক নয়। নিজেদের ‘ব্লু আইড’ প্রার্থীদের ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। এটা শকিং।’’
সব মিলিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে, আদালতের নির্দেশের পর এসএসসি কি নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে দেবে? তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে কমিশনের সিদ্ধান্তের।










