কোলফিল্ড টাইমস: বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সংক্রান্ত মামলায় সোমবার সুপ্রিম কোর্টে লিখিত বক্তব্য জমা দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতকে জানান, দেশের প্রায় দশটি রাজ্যে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) মেনে ডিএ দেওয়া হয় না। সেই তথ্যও লিখিত আকারে জমা দেওয়া হয়েছে।
মামলাকারী সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবী করুণা নন্দী পাল্টা বক্তব্য পেশ করতে চান। তবে বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি বিপুল মনুভাই পাঞ্চোলির বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, এক সপ্তাহের সময়সীমা আগেই নির্ধারিত হয়েছিল। সেই সময়ের মধ্যেই পাল্টা বক্তব্য জমা দিতে হবে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি শেষ হয়। রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত। তবে আদালত জানায়, চাইলে দুই পক্ষই লিখিত বক্তব্য জমা দিতে পারবে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটানোর জন্য। ছ’সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সেই নির্দেশ কার্যকর করতে না পারায় আরও ছ’মাস সময় চেয়ে আবেদন করে। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই টানা কয়েক দিন শুনানি হয় আগস্টের গোড়ায়।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের হারে রাজ্যকেও ডিএ দিতে হবে—এই দাবি নিয়েই মামলা শুরু হয়। ২০২২ সালে কলকাতা হাই কোর্ট সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দিয়ে জানায়, ডিএ তাদের অধিকার। কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে পাওয়ার যোগ্য। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
রাজ্যের যুক্তি, ডিএ বাধ্যতামূলক নয় এবং এটি কর্মীদের মৌলিক অধিকার নয়। কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক কাঠামো এক নয়, তাই একই হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে, কর্মচারীদের দাবি, নির্দিষ্ট সময় অন্তর বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ডিএ দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। প্রয়োজনে বকেয়া ভাতা কিস্তিতে দিলেও চলবে।
মামলার চূড়ান্ত রায় এখন শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।