কোলফিল্ড টাইমস: ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) প্রস্তুতি নিয়ে কড়া অবস্থান নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বুধবার রাজ্যের জেলাশাসকদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এসআইআর-সহ সমস্ত নির্বাচনী প্রস্তুতির কাজ আগামী সাত দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে।
বুধবার সকালে উপ-নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী-র নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাজ্যের সব জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার (DEO) তথা জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেন কমিশনের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের তথ্যপ্রযুক্তি শাখার ডিরেক্টর জেনারেল সীমা খন্না, সচিব এসবি যোশী এবং উপ-সচিব অভিনব আগরওয়াল।
সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রতিটি জেলার প্রস্তুতির অগ্রগতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এসআইআর সংক্রান্ত সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করতে হবে।
জ্ঞানেশ ভারতী জানান, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর দেরি বা টালবাহানা করা যাবে না। এসআইআরের বিজ্ঞপ্তি জারির চার-পাঁচ দিনের মধ্যে অন্তত ৩০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম ছাপানোর কাজ শেষ করতে হবে। প্রতিটি জেলা নিজ নিজ পরিকাঠামো ব্যবহার করে আলাদা ভাবে ফর্ম ছাপাবে। বিহারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে ফর্ম ছাপিয়ে পাঠানো হবে না।
দিল্লি থেকে প্রতিটি ভোটার ফর্মের সফট কপি আলাদা আলাদা করে ইআরওদের (ERO) কাছে পাঠানো হবে। সেগুলি পোর্টালে আপলোড হওয়ার পর ছাপিয়ে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) হাতে দেওয়া হবে। এরপর তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করবেন।
বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৭.৬৫ কোটি ভোটার রয়েছেন। প্রতিটি ভোটারের জন্য দুটি করে ফর্ম ছাপানো হবে—একটি ভোটারের কাছে থাকবে, অন্যটি ফেরত নেবেন বিএলও।
বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বিহারে দায়িত্বে গাফিলতি করা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই বাংলাতেও কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
উত্তরবঙ্গের সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের কারণে সেখানকার বেশিরভাগ জেলাশাসক বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাঁদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা বৈঠক ডাকা হবে।