কোলফিল্ড টাইমস: প্রবল বর্ষণ ও ভুটান থেকে ধেয়ে আসা জলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল উত্তরবঙ্গ। পাহাড় এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও, সেই সময় রাজ্যের পাশে দাঁড়ায়নি কেন্দ্র—এই অভিযোগ ফের তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এবার শাসকদল সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যাগ করে অভিযোগ তুলেছে—বাংলা ফের বঞ্চিত।
তৃণমূলের দাবি, উত্তরবঙ্গে ভয়ঙ্কর বন্যা ও ভূমিধসের ফলে শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি ও জীবিকা হারালেও কেন্দ্রীয় সরকার এক টাকাও বরাদ্দ করেনি। অথচ, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের বন্যা মোকাবিলায় দ্রুত ১,৯৫০.৮০ কোটি টাকা ত্রাণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, “বাংলা সব সময়ই রাজনৈতিক কারণে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।”
দলের আরও অভিযোগ, বিজেপি ২০২১ সালে বাংলায় পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই কেন্দ্র রাজ্যকে সাহায্য থেকে বঞ্চিত করছে। তৃণমূলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেন্দ্র এসডিআরএফ থেকে ১৩,৬০৩.২০ কোটি টাকা এবং এনডিআরএফ থেকে ২,১৮৯.২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে অন্যান্য রাজ্যকে—কিন্তু তালিকায় বাংলার নাম নেই।
তৃণমূলের কটাক্ষ, “দিল্লির সরকার এখন বাংলা-বিরোধী জমিদারের ভূমিকা নিচ্ছে। শাসনের নামে চলছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।” দলের হুঁশিয়ারি, বাংলার মানুষ আগামী নির্বাচনে এর জবাব ভোটবাক্সে দেবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অনুমোদনে বর্ষাজনিত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে ত্রাণ হিসেবে মহারাষ্ট্রকে ১,৫৬৬.৪০ কোটি এবং কর্নাটককে ৩৮৪.৪০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্র বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে সেই তালিকায় না থাকায় বাংলার প্রতি কেন্দ্রের ‘উদাসীনতা’ নিয়েই এখন তীব্র রাজনৈতিক তরজা।










