এসআইআর-এর পর প্রথম বিধানসভা নির্বাচন ছিল বিহারে, আর সেই ভোটেই এনডিএ কার্যত ঝড় তুলেছে। ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২০১টিতে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি-জেডিইউ জোট। খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে রাহুল–তেজস্বী নেতৃত্বাধীন মহাজোট, যাদের এগিয়ে থাকা আসন মাত্র ৩৬।
দশমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার। বিজেপি এবং জেডিইউ—দুই শরিকের মধ্যেই এখন একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দৌড়। বড় ধাক্কা খেয়েছে আরজেডি; আগের বারের তুলনায় প্রাপ্ত আসন প্রায় অর্ধেকেরও কম।
বিহারের এই ভোট ফলকে হাতিয়ার করে পশ্চিমবঙ্গে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, বিহারে গেরুয়া ঝড়ের পরে বাংলাও সেই পথেই হাঁটবে। এসআইআর-এর মাধ্যমে শুদ্ধ ভোটার তালিকা তৈরি হলে পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি জয়ী হবে বলে দাবি তাঁর। শুভেন্দুর পোস্ট—“গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথে ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ—এই মন্ত্রেই এগোবে বিহার।”
একই সুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংও আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর বক্তব্য, “পথ দেখিয়েছে বিহার, এবার বাংলার পালা। শান্তি-উন্নয়নের জয় হবে। রোহিঙ্গা-বাংলাদেশি-অরাজকতার রাজনীতি আর চলবে না।”
তবে বিহারের ফলাফলের সঙ্গে বাংলার কোনও সম্পর্ক নেই বলে সরাসরি দাবি তৃণমূলের। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “বাংলায় তৃণমূল মানুষের বন্ধু, বিজেপি বঞ্চনার প্রতীক। ২৫০টিরও বেশি আসনে জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” সঙ্গে কংগ্রেসের ভরাডুবি নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি—“বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসের ব্যর্থতা আর একবার প্রমাণিত।”










