‘কোলফিল্ড টাইমস: সোমবার পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করার দাবিতে দায়ের হওয়া একটি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তারা এই মুহূর্তে ওই আবেদন গ্রহণ করতে আগ্রহী নয়। আদালত এ প্রসঙ্গে গত সেপ্টেম্বরে নেপালে ঘটে যাওয়া ঘটনার উল্লেখ করে বলে, “নেপালে নিষেধাজ্ঞা জারির পর কী ঘটেছিল, মনে করুন।” নেপালে যুব সম্প্রদায়ের একাংশ দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের বিরুদ্ধে সহিংস আন্দোলনে নেমেছিল সেই নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে।
তবে প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, চার সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানি হবে। উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি আগামী ২৩ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন।
আবেদনকারী কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানান, যাতে সরকার একটি জাতীয় নীতি প্রণয়ন করে ও কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে অপ্রাপ্তবয়স্কদের পর্নোগ্রাফি দেখা রোধে ব্যবস্থা নেয় এবং জনসমক্ষে এমন কোনো উপাদান দেখা নিষিদ্ধ করে।
আবেদনকারীর বক্তব্য, “ডিজিটালাইজেশনের পর সবাই ডিজিটালি যুক্ত — শিক্ষিত বা অশিক্ষিত হওয়া এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এক ক্লিকেই সবকিছু পাওয়া যায়।”
তিনি আরও দাবি করেন, সরকার নিজেই স্বীকার করেছে যে ইন্টারনেটে ‘বিলিয়ন’ পরিমাণ সাইট রয়েছে যা পর্নোগ্রাফিক উপকরণ প্রচার করে। কোভিডের সময় স্কুলশিক্ষার্থীরা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করত, কিন্তু এই ডিভাইসগুলিতে পর্নোগ্রাফি দেখার কোনো কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই।”
তবে এমন বেশ কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যা অভিভাবক বা তত্ত্বাবধায়কদের সন্তানদের অনলাইন কার্যকলাপ সীমিত বা পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে।
আবেদনকারীর দাবি, “এই বিষয়ে কার্যকর আইন নেই এবং পর্নোগ্রাফি দেখা ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সি তরুণদের মানসিক বিকাশে।”
তিনি আদালতে আরও কিছু তথাকথিত ‘চমকপ্রদ তথ্য’ পেশ করেন, যেখানে বলা হয়েছে যে ভারতে ২০ কোটিরও বেশি পর্নোগ্রাফিক ভিডিও বা ক্লিপ বিক্রির জন্য পাওয়া যায়, যার মধ্যে শিশু যৌন নির্যাতনের উপাদানও রয়েছে। আবেদনকারীর যুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯(এ) ধারা অনুযায়ী সরকার এই ধরনের ওয়েবসাইট ব্লক করার ক্ষমতা রাখে।










