পথকুকুরদের বিষয়ে নিজেদের আগের নির্দেশ সংশোধন করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, সব পথকুকুরকে ধরে শেল্টার হোমে রাখা বাধ্যতামূলক নয়। টিকা ও চিকিৎসার পর তাদের পুরনো এলাকায় ফেরত পাঠানো যাবে। তবে জলাতঙ্কে আক্রান্ত বা অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক কুকুরদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে।
শুক্রবার (১১ অগস্ট) বিচারপতি বিক্রম নাথ, সন্দীপ মেহতা ও এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চ জানায়, যেসব পথকুকুর ধরা হবে, তাদের জীবাণুমুক্তকরণ, কৃমিনাশক প্রয়োগ এবং টিকাদানের পর ছাড়া হবে। কিন্তু অসুস্থ বা বিপজ্জনক কুকুরদের রাস্তায় ফেরানো যাবে না। আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে, যত্রতত্র কুকুরদের খাওয়ানো যাবে না। এর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা তৈরি করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে।
সুপ্রিম কোর্ট এ-ও জানায়, কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা পৌর কর্তৃপক্ষকে কুকুর ধরতে বাধা দিতে পারবে না। দিল্লি-এনসিআর-কে কেন্দ্র করে শুরু হলেও মামলার পরিধি গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একই ধরনের মামলা যেসব হাইকোর্টে চলছে, সেগুলিও সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তর হবে।
আরও পড়ুন: পথকুকুর নিয়ন্ত্রণে কী করছে রাজ্য? চার সপ্তাহে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে জলাতঙ্কে একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় পথকুকুর সমস্যা তীব্র আকার নেয়। সেই প্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালত প্রথমে নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে সব কুকুরকে ধরে শেল্টারে পাঠাতে হবে। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করতে হবে বলেও জানিয়েছিল আদালত। কিন্তু এই নির্দেশের বিরোধিতা করেন বহু সেলিব্রিটি ও সাধারণ মানুষ। তার পরই বিষয়টি নতুন করে খতিয়ে দেখে তিন বিচারপতির বেঞ্চ আগের রায় সংশোধন করল।
One Comment