আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর। এখনও পর্যন্ত আয়কর বিভাগের তরফে সময়সীমা বাড়ানোর কোনও ঘোষণা হয়নি। অনেকেই এখনও রিটার্ন জমা দিতে পারেননি, আর এর ফলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সময়মতো আইটিআর না জমা দিলে নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে।
কেন সময়মতো আইটিআর জমা দেওয়া জরুরি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া শুধু আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, আপনাকে জরিমানা, নোটিস ও অপ্রয়োজনীয় আর্থিক চাপ থেকে বাঁচায়। কিন্তু যদি সময়সীমা মিস করেন, তাহলে কী হতে পারে?
১. জরিমানা দিতে হতে পারে
আইন অনুযায়ী (ধারা ২৩৪এফ), দেরিতে আইটিআর জমা দিলে জরিমানা গুনতে হবে।
- বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে হলে সর্বোচ্চ জরিমানা ১,০০০।
- বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে সর্বোচ্চ জরিমানা ৫,০০০।
এই জরিমানা করের অতিরিক্ত দিতে হবে।
২. অতিরিক্ত সুদের বোঝা
যদি কোনও কর বকেয়া থাকে, তবে ধারা ২৩৪এফ, ২৩৪বি এবং ২৩৪সি অনুসারে সুদ দিতে হবে। যত দিন ট্যাক্স বাকি থাকবে, তত দিন সুদ বাড়তেই থাকবে।
৩. ক্যারি-ফরওয়ার্ড সুবিধা হারাবেন
শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড বা সম্পত্তি থেকে যদি ক্ষতি হয়ে থাকে, তা ভবিষ্যতের লাভের বিপরীতে সমন্বয় করা যায়। কিন্তু সময়মতো আইটিআর না জমা দিলে এই সুবিধা হারাতে হবে।
৪. রিফান্ড পেতে দেরি হবে
দেরিতে আইটিআর জমা দিলে ট্যাক্স রিফান্ড পেতেও বেশি সময় লাগবে। দ্রুত ফাইল করলে রিফান্ডও দ্রুত মেলে।
৫. ইনকাম ট্যাক্স নোটিসের ঝুঁকি
ভুলভাবে বা দেরিতে আইটিআর ফাইল করলে ইনকাম ট্যাক্স দফতর থেকে নোটিস আসতে পারে। এমনকি কারণ দর্শানোর নোটিস জারি হতে পারে।
৬. লোন-ভিসা জটিলতা
হোম লোন, গাড়ির লোন বা পার্সোনাল লোন পেতে গেলে ব্যাঙ্ক প্রায়ই আইটিআর কপি চায়। অনেক দেশে ভিসা প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও আইটিআর জরুরি। তাই দেরি করলে লোন অনুমোদন ও বিদেশ যাত্রা দুইই আটকে যেতে পারে।