Home / খবর / শিল্প-বাণিজ্য / চিত্তরঞ্জনে বাইরে থেকে আসছে ৫০টি ইঞ্জিন! রুখতে শহর অবরোধের ডাক শ্রমিক সংগঠনের

চিত্তরঞ্জনে বাইরে থেকে আসছে ৫০টি ইঞ্জিন! রুখতে শহর অবরোধের ডাক শ্রমিক সংগঠনের

কোলফিল্ড টাইমস: ইঞ্জিনের শুধু যন্ত্রাংশ নয়, এবার একেবারে গোটা ইঞ্জিন বাইরে থেকে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় নিয়ে আসার ব্যাপক তোড়জোড় চলছে বলে গুরুতর অভিযোগ তুলল শ্রমিক সংগঠন।

সংগঠনের নেতা রাজীব গুপ্তের অভিযোগ, বাইরে থেকে ৫০টি স্মার্ট ইঞ্জিন চিত্তরঞ্জনে ঢোকানোর সব রকম চেষ্টা চলছে। কিন্তু এমনটা তাঁরা কোনভাবেই হতে দেবেন না। প্রয়োজনে শহরে ঢোকার সবকটি গেট অবরোধ করে রেল কর্তৃপক্ষের এই অপচেষ্টা রুখে দেবেন।

শুক্রবার বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সিএলডব্লু চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন সিআইটিইউ সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন সিএলডব্লিউ লেবার ইউনিয়ন। তার আগে বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজীববাবু গুরুতর এই অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, বাইরে থেকে এখানে ইঞ্জিন ঢোকানোর চেষ্টা রুখতে যতদূর যেতে হয় তারা যাবেন। রেল কর্তৃপক্ষের এই তোড়জোড়ের বিরোধিতা করে তারা বলেন, অবিলম্বে এই উদ্যোগ বন্ধ করতে হবে।

এদিন অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গেই আরো গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল আসানসোল- চিত্তরঞ্জন রোডের সংস্কার। লেবার ইউনিয়ন তাদের স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছে, চিত্তরঞ্জন রেল কারখানায় যন্ত্রাংশ নিয়ে আসার জন্য অত্যন্ত ভারী ট্রাক ট্রেলার এই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করছে। কিন্তু রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত ভগ্ন। ‌ যত্রতত্র গর্ত, জমা জলে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রেল কর্মীরা যাতায়াতের ক্ষেত্রেও নিয়মিত এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। তাই সবদিক বিবেচনা করে এই রাস্তা সংস্কারের জন্য পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ যেন উদ্যোগ নেন সেই দাবিও জানানো হয়েছে। ‌

এছাড়াও চিত্তরঞ্জন শহরের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রবীন্দ্র মঞ্চের অবিলম্বে পূর্ণ সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে। লেবার ইউনিয়ন জানিয়েছে সাংস্কৃতিক এই মঞ্চটির টিনের ছাউনি যত্রতত্র খুলে পড়েছে। বাথরুমগুলি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মঞ্চ এবং দেওয়াল বৃষ্টির জলে নষ্ট হচ্ছে। ‌ অবিলম্বে রবীন্দ্র মঞ্চের পূর্ণ সংস্কারের দাবি জানানোর পাশাপাশি চিল্ড্রেন পার্কটিরও সংস্কারের আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়াও বোনাসের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করা, লাগামছাড়া আউটসোর্সিং বন্ধ করা, রবিবার এবং অন্যান্য ছুটির দিনে কাজের জন্য ওভারটাইম সুবিধা দেওয়া সহ বেশ কিছু দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি রেল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিক্ষোভ সভায় রাজীব গুপ্ত ছাড়াও বক্তব্য রাখেন আর এস চৌহান, চিন্ময় গুহ, স্নেহাশিস চক্রবর্তী।

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *