কোলফিল্ড টাইমস: উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার পর এবার বীরভূম। ফের আত্মহত্যার ঘটনা। অভিযোগ, ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়ে আতঙ্কেই প্রাণ দিলেন এক বৃদ্ধ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইলামবাজার ব্লকের স্কুলবাগান সুভাষপল্লীতে। মৃতের নাম ক্ষিতীশচন্দ্র মজুমদার। তিনি মেয়ের বাড়িতে এসে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে।
পরিবারের দাবি, এসআইআর আতঙ্কই মৃত্যুর কারণ। মৃতের মেয়ে বলেন, “প্রতিদিনের মতোই বাবা খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েছিলেন। সকালে এসে দেখি, বাবা গলায় দড়ি দিয়েছে। বাবা কিছু বলেননি, তবে বাইরে থেকে শুনে এসেছিলেন এসআইআর নিয়ে অনেক কথা। খুব ভয় পেতেন।”
পরিবারের আরও দাবি, ক্ষিতীশবাবুর ভোটার কার্ড থাকলেও ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। মেয়ের কথায়, “বাবা বাংলাদেশ থেকে বহু বছর আগে এসেছিলেন। আধার বা প্যানের মতো কাগজের গুরুত্ব বুঝতেন না। এখন শুনছিলেন, নাম না থাকলে হয়তো দেশছাড়া হতে হবে— সেই ভয়েই এমনটা করেছেন।”
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া।
বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই মৃত্যুকে এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যা বলে চালানো ঠিক নয়। তৃণমূল এই বিষয়কে রাজনৈতিক রঙ দিচ্ছে। মানুষ এখন সব বুঝে গেছে।”
অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, “এটা আত্মহত্যা নয়, শহিদ হয়েছেন ক্ষিতীশবাবু। বিজেপির এসআইআর আতঙ্কই সাধারণ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রতিটি প্রাণের মূল্য ওদের দিতে হবে।”
পরিবারের এক সদস্যের আক্ষেপ, “আমরা সাধারণ মানুষ। এই এসআইআর প্রক্রিয়া বন্ধ হোক। এতে বহু মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
উল্লেখ্য, সোমবার এসআইআর প্রক্রিয়া ঘোষণা হওয়ার পরই আগরপাড়ায় প্রৌঢ় প্রদীপ করের আত্মহত্যার ঘটনা সামনে আসে। এরপর দিনহাটায় আরও এক বৃদ্ধ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আর এবার বীরভূমে ফের একই অভিযোগে মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা।










