পিকে মল্লিকের হাতে তৈরি করা রংবেরঙের ফানুস উড়ল আকাশে। ছবি: রাজীব বসু
কোলফিল্ড টাইমস: কালীপুজোর রাতে ফের শব্দবাজির তাণ্ডবে কেঁপে উঠল কলকাতা। সোমবার রাতভর শহরের নানা প্রান্তে বয়স্ক মানুষ থেকে শিশু, এমনকি পশুপাখিও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। একের পর এক পাড়ায় পাড়ায় নাগাড়ে ফাটতে থাকে শব্দবাজি, যেন উৎসব নয়, শব্দযুদ্ধ।
এই শব্দতাণ্ডবেরই ভয়াবহ নজির মিলল বাঁশদ্রোণী এলাকায়। মাস্টারদা সূর্য সেন মেট্রো স্টেশনের সামনে তীব্র শব্দবাজির ভয়ে এক পথকুকুর ছুটে গিয়ে মেট্রো কামরায় উঠে পড়ে। কীভাবে সে নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে সোজা কামরায় ঢুকল, তা নিয়ে হতবাক মেট্রো কর্তৃপক্ষও। আতঙ্কে এক কামরা থেকে আরেক কামরায় ছোটাছুটি শুরু করে কুকুরটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্রিজিগামী মেট্রোর সামনের দিকের কামরায় দেখা যায় সারমেয়টিকে। অনেকেই ভয় পেয়ে যান, কেউ কেউ আবার ঠাট্টা করে বলেন, “টিকিট কেটেছে তো?” অন্য এক যাত্রীর কটাক্ষ, “এই তো কলকাতা মেট্রোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা!”
অবশেষে শহিদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশনে ট্রেন থামার পর কুকুরটিকে নামানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেট্রো নিরাপত্তার কর্মীরা প্রাণীটিকে উদ্ধার করেন।
অন্যদিকে, শহর জুড়ে শব্দবাজির বেপরোয়া ব্যবহার নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কলকাতার নগরপাল মনোজ ভর্মা আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও, বাস্তবে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। দীপাবলির রাতে দেদারে ফেটেছে শব্দবাজি, উড়েছে ফানুস, ঘনিয়েছে দূষণ।
এ ছাড়া সার্বিক ছবি বলছে, এ বারের কালীপুজোয় শহর থাকল শব্দ ‘দানবের’ কবলে। সমন্বয় বৈঠক থেকে শব্দবাজি নিয়ে নানা বিধিনিষেধ জারি করেছিলেন কলকাতার নগরপাল মনোজ ভর্মা। কিন্তু দীপাবলির রাতে সেই বিধিনিষেধকেই যেন বুড়ো আঙুল দেখালেন একাংশ। দেদারে ফাটল শব্দবাজি। বাতাসে বাড়ল বিষ।










