পাণ্ডবেশ্বর ( পশ্চিম বর্ধমান): পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বরের ডালুরবাঁধে শনিবার বিকেলে অটল বিহারী বাজপেয়ী স্মৃতি রক্ষা ক্লাবের কালী পূজো প্যান্ডেল উদ্বোধন করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, দুর্গাপুরের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোরুই, আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য মণ্ডল সভাপতিদের উপস্থিতিতে তিনি প্রথমে ফিতে কেটে ও পরে প্রদীপ জ্বালিয়ে এই পুজোর উদ্বোধন করেন।
পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী আছেন যিনি রাতে নারী ও মেয়েদের ঘর থেকে বেরোতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন যে, এই ধরণের ঘটনা ঘটেই। আমি মা কালীর কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি এমন একজন মুখ্যমন্ত্রীকে পরিষ্কার মন দেন, যাতে রাজ্যকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
বিরোধী দলনেতা বলেন, দুর্গাপুরের ঘটনা, বাংলার মানুষের কাছে লজ্জার। পাশের রাজ্য ওড়িশা থেকে ডাক্তারি পড়তে আসা একটা মেয়েকে গণধর্ষণ করা হল। তাঁর বাবা বলেছেন, এখানে আর মেয়েকে রেখে পড়াবেন না। তাঁকে ওড়িশা নিয়ে চলে যাবেন।
রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করে তিনি আরো বলেন, শাসক যদি শোষক হয়, আর রক্ষক যদি ভক্ষক হয়, তাহলে বাংলার মেয়েরা যাবে কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জায়গায় বলে বেড়ান, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। কিন্তু আমি বলছি, ধর্ম যার যার, রক্ষা করার দায়িত্ব তার তার।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, দুর্গাপুরের নির্যাতনের ঘটনার পর থেকে এখানকার বিজেপির সব স্তরের নেতারা, মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন। আমি উত্তরবঙ্গ থেকে এখানে এসেছিলাম। লাগাতার আন্দোলন চলছে। গত ছ’দিন ধরে যে ধর্ণা অবস্থান চলছিলো, তা এদিন বিকেল পাঁচটার পরে স্থগিত করা হয়েছে। আজ থেকে টানা উৎসব অনুষ্ঠান আছে। তাই অনেকে আমাদেরকে বলেছেন। তাই আপাততঃ এখন কিছু করা হবেনা।
আগামী ১ নভেম্বরের পরে দুর্গাপুরে এই ঘটনার প্রতিবাদে কয়েক হাজার মহিলাকে নিয়ে ঝাড়ু মিছিল করা হবে। আসানসোল ও পূর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তার দিনক্ষণ ঠিক করবে।
এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অগ্নিমিত্রা পাল, লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, জিতেন্দ্র তেওয়ারি।










