জলপাইগুড়ি: পাহাড় ও সমতলে বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে উত্তরের জেলা গুলোর একাংশে। পাহাড়ে বৃষ্টির কারণে বাতিল হল কিছু ট্রেনও৷ সেতু ভেঙে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে৷ ধ্বস নেমেছে দার্জিলিংগামী রাস্তাতেও।
এক রাতে শহর জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হল ১৭২ মিলিমিটার। রেকর্ড বৃষ্টিতে জলমগ্ন হল শহরের মহামায়াপাড়া, স্টেশন রোড, পাণ্ডাপাড়ার একাংশ। শহর লাগোয়া তিস্তাপারের বিবেকানন্দ পল্লি, দক্ষিণ সুকান্ত নগরের একাংশেও ঢুকে পড়ে তিস্তার জল। রবিবার সকাল ৯ টায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৬ হাজার কিউমেক জল ছাড়া হয় বলে সূত্রের খবর। জলমগ্ন এলাকা গুলিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে প্রশাসন।
রেল দপ্তর সূত্রের খবর, এনজেপি-আলিপুরদুয়ার পর্যটক স্পেশাল, শিলিগুড়ি-বামনহাট এক্সপ্রেস, শিলিগুড়ি-ধুবড়ি ডেমু বাতিল করা হয়েছে। সিকিম মহানন্দা এক্সপ্রেস-সহ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথের পরিবর্তন করা হয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাতের জেরে পাহাড়ি এলাকার দুধিয়ায় এ দিন ভোর রাতে একটি সেতু ভেঙে পড়ে। সিকিমগামী জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধ্বস নেমে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। মিরিকে ধ্বসে জনা পনেরো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে বলে খবর। জখমদের মিরিক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান হচ্ছে।
গরুমারার জঙ্গল থেকে দু’টি গণ্ডার ভেসে রামশাইয়ে এসেছে বলে সূত্রের খবর। উদ্ধারকাজে নেমেছে বন দফতরের রেসকিউ টিম। আগামীকাল বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।